‘হ্যারি পটার’, ‘ডক্টর হু’খ্যাত ব্রিটিশ তারকা সাইমন ফিশার বেকার মারা গেছেন। রবিবার (৯ মার্চ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। সিএনএন এ খবর প্রকাশ করেছে।

ফিশার-বেকারের এজেন্ট কিম ব্যারি সিএনএন-কে বলেন, “আমি কেবল একজন ক্লায়েন্ট সাইমন ফিশার-বেকারকে হারাইনি। বরং ১৫ বছরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও হারিয়েছি। সাইমন আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সকলের প্রতি সদয় ছিলেন তিনি।”

১৯৬১ সালের ২৫ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন সাইমন ফিশার। এ শহরেই তার বেড়ে ওঠা। শৈশবে গানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন সাইমন। তবে স্কুলের একটি মঞ্চনাটকে সুযোগ পাওয়ার পর অভিনয় প্রতিভার নতুন একটি দিক উন্মোচিত হয়।

আরো পড়ুন:

বাষট্টিতে ‘বেওয়াচ’ অভিনেত্রীর আত্মহত্যা

‘অস্কার পেলে চতুর্থ সন্তান উপহার দেব’, স্ত্রীর কথা রাখলেন অভিনেতা

নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাইমন ফিশার বেকার। পাশাপাশি টিভি সিরিজে কাজ শুরু করেন। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি হিট টিভি সিরিজ উপহার দিয়েছেন। 

হগওয়ার্টসের অন্দরে ভূতের ভূমিকায় ‘হ্যারি পটার’ সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান সাইমন। তা ছাড়াও ‘ডক্টর হু’ নামে জনপ্রিয় টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। কমেডি চরিত্রের জন্যও দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন এই অভিনেতা। বিবিসির ‘পাপি লাভ’ সিরিজে টনি ফাজাকার্লির চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও বেশ প্রশংস কুড়ান সাইমন।
 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ইমন ফ শ র ন স ইমন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?

ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’

ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানের হামলায় ২০ ইসরায়েলি নিহত: বিবিসি
  • ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত বেড়ে ৫, আহত ২৯
  • ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত বেড়ে ৪, আহত ২৯
  • ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত ৪, আহত ২৯
  • ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত ৩, আহত ২৯
  • ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত আরও ৩, আহত ২৯
  • ইসরায়েলে ইরানের নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু
  • ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • ইরানের হামলায় অন্তত ১৩ ইসরায়েলি নিহত: সিএনএন
  • ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?