সুনামগঞ্জে সংঘর্ষ চলাকালে মৃত্যু, গুজব বলছে পুলিশ
Published: 11th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় বালু ও পাথর বহনকারী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে সোমবার (১০ মার্চ) রাতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে একজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
মধ্যনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সজীব রহমান বলেন, “সংঘর্ষে কেউ মারা যাননি। যিনি মারা গেছেন তিনি সংঘর্ষের আগেই মারা যান। এটাকে সংঘর্ষে মৃত্যু বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকা তাহিরপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বালু ও পাথর। এই দুইটি পণ্যবহনকারী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা হযরত আলী এবং ছাত্রদল নেতা হারুন মাহমুদের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। গতকাল রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ সময় ইটের আঘাতে মোহাম্মদ আলী (৬০) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
গৌরনদীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৯
জামালপুরে শিক্ষার্থী-আইনজীবী সংঘর্ষ, আহত ৮
মারা যাওয়া মোহাম্মদ আলী বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মধ্যনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সজীব রহমান বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।”
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ আহত ম হ ম মদ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।