সাত উপদেষ্টা নিয়ে সন্দ্বীপ যাচ্ছেন উপদেষ্টা ফাওজুল
Published: 22nd, March 2025 GMT
সাত উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে ফেরিতে চড়ে সন্দ্বীপ যাবেন সন্দ্বীপেরই সন্তান মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত।
নিজ জন্মস্থানের র্দীঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে গত সাত মাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন উপদেষ্টা ফাওজুল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যা করতে পারেনি, তার অনেক কিছু গত সাত মাসে করে দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর এসব উদ্যোগের সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে সন্দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সরাসরি ফেরি সার্ভিস।
ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করতে মন্ত্রী পদমর্যাদার এত মানুষ একসঙ্গে অতীতে সন্দ্বীপ যায়নি। এটি সম্ভব করে ফাওজুল সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন আরও ছয় উপদেষ্টা। তারা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়। তাদের সঙ্গে থাকবেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার প্রধান উপদেষ্টার দু’জন বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা.
সন্দ্বীপের বাসিন্দা কবির সোহেল বলেন, ফেরি চলাচল কার্যক্রম শুরু করার পথে অনেক বাধা পেয়েছিলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। কিন্তু সব বাধা জয় করেছেন তিনি। চার লাখ সন্দ্বীপবাসীর স্বপ্নপূরণ করেছেন তিনি। উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর আগে একাধিকবার সন্দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। দেখেছেন কাজের অগ্রগতিও। এ সময় তিনি বলেন, এ দ্বীপে তাঁর জন্ম। এর প্রতি দায় আছে তাঁর। অন্য এলাকার চেয়ে নানা দিক থেকে পিছিয়ে এ জনপথ। নৌপথে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হয় দ্বীপবাসীকে। তারা সেটি দূর করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ন উপদ ষ ট কর ছ ন মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।