বাদ্যযন্ত্রের শব্দ কমাতে অনুরোধ করায় কৃষকের বাড়িতে ভাঙচুর-লুট
Published: 29th, March 2025 GMT
মাদারীপুরে উচ্চ বাদ্যযন্ত্রের শব্দ কমানোর অনুরোধ করায় এক কৃষকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার কুলপদ্বী মোবারককান্দি এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন মাতুব্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারটি সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে উচ্চ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পিকনিকের আয়োজন করে মোবারককান্দি এলাকার কয়েকজন যুবক। তাদের বাদ্যযন্ত্রের শব্দ কমাতে অনুরোধ জানায় আলমগীর হোসেন। কিন্তু তার কথা না শুনে বখাটে যুবকরা শব্দ আরো বাড়িয়ে দিয়ে গান শুনতে থাকে। পরে আলমগীর হোসেন, তার স্ত্রী ও মেয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা ওই রাতেই তাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
এসময় তারা ঘরের দরজা জানালা ভেঙে ঘরের মধ্যে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে তারা আলমগীর হোসেন তার পরিবারের সদস্যদের মারধরও করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাদারীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং রাতেই ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।”
ঢাকা/বেলাল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আলমগ র হ স ন ব দ যযন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব