বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 9th, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মুরাদুর রহমান মুন্না (৪০)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদুর রহমান মুন্না ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রত্না অভিযোগ করে বলেন, ‘‘মঙ্গলবার বিকেলে মুন্না নিজের ধানি জমি দেখতে সেজামুড়া সীমান্তের কাছে যান। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে পিটিয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’
আরো পড়ুন:
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন
যুবককে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘‘আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, মুরাদুর রহমান নামের একজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তবে তিনি কী কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, বিএসএফ তাকে ধরেছিল কিনা বা অন্য কেউ তাকে মেরেছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে জানতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে।’’
ঢাকা/রুবেল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ব এসএফ ন হত ব র হ মণব ড় য় র রহম ন ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।
বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।
আটক বাংলাদেশিরা হলেন- যশোরের শার্শা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে কোরবান গাজী (৩৩), অভয়নগর থানার ডাকহিদিয়া শ্যামলনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২) ও নড়াইল সদর থানার গোবরা বাজারের বীরগ্রাম গ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭)।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পালঘাট ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।
আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।