কেউ আসছেন না জেনে, কেউ–বা বর্ষবরণের স্থানটি দেখতে
Published: 14th, April 2025 GMT
আশুতোষ বড়ুয়া ও শুক্লা বড়ুয়া দম্পতি ডিসি হিলের সিঁড়িতে বসে আছেন সকাল থেকেই। পরনে বৈশাখের লাল-সাদা নতুন পোশাক। নিষ্পলক তাকিয়ে আছেন জনশূন্য মঞ্চের দিকে। একেবারে শূন্য বলা যাবে না। ডিসি হিলের স্থায়ী মঞ্চে তখন দু-একজন প্রতিদিনের মতো সকালের ব্যায়াম সারছেন। এই মঞ্চে প্রতিবারের মতো আজ সোমবার সকাল থেকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। গতকাল রোববার প্রস্তুতি ও সাজসজ্জার সময় ভাঙচুর করা হয় মঞ্চটি।
আশুতোষ বড়ুয়া বললেন, ‘যুগ যুগ ধরে ডিসি হিলের এই উৎসব দেখে বৃদ্ধ হয়েছি। প্রতিদিন ডিসি হিলে হাঁটি। আজ চিন্তা করলাম হাঁটব না। বসে থাকব। প্রতিবছর যেভাবে বসে থাকতাম, সেভাবে বসে আছি। এমন একটি বাঙালি ঐতিহ্যের বর্ষবরণ উৎসব হচ্ছে না দেখে খুব খারাপ লাগছে।’ শুক্লা বড়ুয়া স্বামীর মুখের কথা টেনে বলেন, ‘আমার নাতি-নাতনিদের আজ এখানে থাকার কথা ছিল, সেই সুযোগটা আর হলো না। যারাই কাজটা (ভাঙচুর) করুক, সেটা ভালো হয়নি।’
ডিসি হিলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বন্ধের কথা জানতেন না, তাই মেলায় পণ্য বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন অনেকেই। আজ সকালে ডিসি হিলের সামনের সড়কে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।