সিলেটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন স্কুল শিক্ষক, ট্রাক চালক ও হেলপার। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার বিকেলে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের থানা বাজার এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান মোটরসাইকেল আরোহী জকিগঞ্জ ক্যাডেট হোম স্কুলের শিক্ষক তাসনিয়া পারভীন জুঁই (২৪)। ওই সময় আহত হন তার ভাই বিজিবি সদস্য ইমদাদুল হক ইমন (২৪)।

নিহতরা জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের লালো গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি কমান্ডার আমিনুল হক বাচ্চুর ছেলে-মেয়ে। শিক্ষক জুঁই তার ভাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

জানা যায়, সহকারী শিক্ষক তাসনিয়া পারভীন জুঁই স্কুল শেষে ছোটভাই ইমনের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে থানাবাজার এলাকায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান জুঁই। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন তার ভাই ইমন।

গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না।

এদিকে সোমবার রাতে সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকার পারাইরচক এলাকায় ট্রাকচাপায় অপর ট্রাকের চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের কমলাবাড়ি গ্রামের ট্রাকচালক শাহীন মিয়া শামীম (৫০) ও তার সহযোগী কামাল মিয়া (৪৫)।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চাকা পাংচার হয়ে একটি ট্রাক বিকল অবস্থায় সড়কের পাশে দাঁড় করানো ছিল। ওই ট্রাকের চালক ও হেলপার বিকল ট্রাকটি মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় শ্রীরামপুর থেকে পারাইরচকের দিকে আসা পাথরবোঝাই অন্য একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ