চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি একসঙ্গে বিভিন্ন কাজে দেখা গেলেও রুপালি পর্দায় তাদের আর দেখা যায়নি। তবে এবার প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় দেখা যাবে তাদের। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘দেনাপাওনা’ শিরোনামের এই সিনেমায় জুটি বাধছেন ইমন-দীঘি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনাপাওনা’ অবলম্বনে সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সাদেক সিদ্দিকী। আগেই জানা গিয়েছিল, নিরুপমা চরিত্রে অভিনয় করবেন দীঘি।
পরিচালক জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসে সিনেমাটির শুটিং শুরু করবেন তিনি।
আরো পড়ুন:
বাংলার কণ্ঠে বিশ্ব মুগ্ধ, আমেরিকায় রয়া চৌধুরীকে সম্মাননা
শরীফুল রাজ এখন কোথায়
নায়ক ইমন বলেন, “রবীন্দ্রনাথের এই গল্পটি অনেক জনপ্রিয়, বহুল পঠিত। এজন্য চ্যালেঞ্জটা বেশি। মানুষ চরিত্রগুলোর খুঁটিনাটি জানেন। সেগুলো সিনেমার পর্দায় সঠিকভাবে তুল ধরতে হবে। পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করব।”
সিনেমায় ইমনকে দেখা যাবে কলকাতায় কর্মরত এক ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকায়, যিনি জমিদার পরিবারের সন্তান। গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে নিরুপমার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। তবে পণ দিতে না পারায় নিরুপমার পিতা আত্মহত্যা করলে গল্প মোড় নেয় করুণ পরিণতির দিকে।
‘দেনাপাওনা’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন মিরন মহিউদ্দিন। ইমন ও দীঘির পাশাপাশি সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করবেন মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, অনন্ত হিরা, ইরা শিকদার, তানিন সুবাহ, সুমনা সোমা, রিপা, অভি, সাব্বিরসহ অনেকে।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।