রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় অভিনয় করবেন ইমন-দীঘি
Published: 21st, April 2025 GMT
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় ছোটগল্প ‘দেনাপাওনা’ এবার আসছে বড় পর্দায়। গল্পের নামেই সরকারি অনুদানে নির্মিত হতে যাচ্ছে ছবিটি। পরিচালক সাদেক সিদ্দিকীর নির্মাণে এই ছবিতে অভিনয় করবেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও মামনুন ইমন।
‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় দীঘি অভিনয় করবেন, এমনটা আগেই জানান হয়েছিল। এবার জানা গেল, সিনেমাটিতে দীঘির নায়ক হচ্ছেন ইমন; এর সঙ্গে প্রথমবার একসঙ্গে জুটি হচ্ছেন তারা।
ছবিতে ইমনকে দেখা যাবে কলকাতায় কর্মরত এক ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকায়, যিনি জমিদার পরিবারের সন্তান। আর দীঘি অভিনয় করছেন গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে নিরুপমার চরিত্রে। বিয়ের পণ দিতে না পারায় নিরুপমার পিতার আত্মহত্যা এবং পরবর্তী করুণ পরিণতি নিয়ে এগোবে সিনেমার গল্প।
সিনামায় নিজের কাজ করার খবর গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ইমন নিজেই। অভিনেতা বলেন,‘রবীন্দ্রনাথের এই গল্পটি বহু পঠিত, তাই চ্যালেঞ্জটা বেশি। দর্শকরা চরিত্রগুলোর প্রতিটি দিক সম্পর্কে জানেন, সেগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরা কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করব পরিচালকের নির্দেশনা মেনে কাজটি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে করতে।’
‘দেনাপাওনা’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন মিরন মহিউদ্দিন। ইমন ও দীঘির পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করছেন মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, অনন্ত হিরা, ইরা শিকদার, তানিন সুবাহ, সুমনা সোমা, রিপা, অভি ও সাব্বির প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নত ন স ন ম ন ইমন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।