দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে অনশন শুরু করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচি শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইঁয়া।

তিনি বলেন, আমরা যখন ক্যাম্পাস থেকে এসেছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে ফিরব না। এই মুহূর্ত থেকে আমাদের গণঅনশন শুরু হলো। 

এর আগে বিকাল তিনটায় সমাবেশে জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে একই ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, আমাদের আর পেছনে ফেরার জায়গা নেই। আমরা বিকেল সাড়ে তিনটায় অনশন কর্মসূচি শুরু করব। বিজয় না নিয়ে আমরা ফিরছি না।

এর আগে বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.

রইছউদ্দীন আজকের কর্মসূচির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবেন শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। 

অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সরকারের কাছে আমাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মেরেছে কিন্তু আমাদের অধিকারের বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা আসেনি। 

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা। 


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অনশন আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

কনটেইনার পরিবহনে রেকর্ড চট্টগ্রাম বন্দরের

কনটেইনার পরিবহনে রেকর্ড গড়েছে দেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ বন্দর কনটেইনার পরিবহন করেছে প্রায় ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টিইইউস। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পণ্য শুল্কায়ন করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে, যার পরিমাণ ৭৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, এক বছরে তাদের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৬ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনও বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কনটেইনার পরিবহন হয় ৩১ লাখ ৬৮ হাজার একক। বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানান, গেল অর্থবছরে বন্দরের কার্যক্রম নানা বাধার মুখে পড়েছে। অর্থবছরের শেষের দিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মসূচি না থাকলে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা আরও বাড়ত। 

জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, বাংলাদেশে কনটেইনার পরিবহনের জন্য দুটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। একটি চট্টগ্রামে, আরেকটি মোংলাতে। মোংলার মাধ্যমে হয় মাত্র ১ শতাংশ। দ্বিতীয় বন্দরকে আরও কার্যকর করা দরকার। শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে মোট পণ্য পরিবহনের ২৩ শতাংশ কনটেইনার আনা-নেওয়া হয়। বাকি ৭৭ শতাংশ কনটেইনারবিহীন পণ্য। এর মধ্যে আছে খোলা পণ্য, চাল, গম, সিমেন্ট ক্লিংকার, জ্বালানি ও ভোজ্যতেল। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু জানান, নানা বাণিজ্যিক পণ্য কনটেইনারে আনা হয়। আবার রপ্তানির পুরোটাই যায় কনটেইনারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড
  • কনটেইনার পরিবহনে রেকর্ড চট্টগ্রাম বন্দরের
  • সিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহনে আন্দোলনকারীদের হামলা, আটক ২
  • জবিতে ২৯৮ কোটি টাকার বাজেট পাস
  • ডিএসসিসির বাজেট কমলো ২ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা
  • কুলাউড়া পৌরসভায় ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
  • রাসিকের বাজেট ৮০৬ কোটি টাকা
  • ১১ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে পিকেএসএফ
  • রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
  • জাবির বাজেটে ফের উপেক্ষিত গবেষণা ও চিকিৎসা খাত