গোরখোদক মনু মিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী ঘোড়াটিকে কে বা কারা মেরে ফেলেছে। ৩ হাজার ৫৭টি কবর খোঁড়া মনু মিয়াকে নিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেখে অভিনেতা খায়রুল বাসার ছুটে যান তাঁকে দেখতে। গতকাল ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের দীর্ঘ সময় কথা হয়। মনু মিয়ার কথায় বাসারের মনে হয়েছে, ‘তাঁরা সমাজের নায়ক।’

মনু মিয়া ও বাসার দুজনেই কিশোরগঞ্জের মানুষ। শুরুতেই মজা করে বাসার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি মনু মিয়ার কী হন?’ শুনে মনু মিয়াও সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘আরে ফাগল আমিই তো মনু মিয়া।’ পরে আর তাঁদের আড্ডা জমতে সময় লাগে না। বাসারের মনে হয়েছে, মনু মিয়া বয়স অনুযায়ী বেশ শক্ত। মানসিকভাবেও দৃঢ়চেতা। এ ধরনের মানুষ সহজেই ভেঙেন পড়েন না। তবে কথার একপর্যায়ে মনু মিয়া ‘হতাশ’ করেন এই অভিনেতাকে। সেটাও বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেন এই অভিনেতা।

অল্প সময়েই আড্ডা জমে যায় মনু মিয়ার সঙ্গে বাসারের। ছবি: বাসারের সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ