ভারতের বিরুদ্ধে অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস এবং মারকা-ই-হক নামে পরিচিত সংঘাতে নেতৃত্বের জন্য ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। মঙ্গলবার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।

এপ্রিল মাসে পহেলগাম হামলার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৭ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। ৭ মে রাতে নয়াদিল্লি পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালায়। ওই রাতেই ইসলামাবাদ পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিমান ভূপাতিত করে প্রতিক্রিয়া জানায়। ভারতের পাঠানো ড্রোন আটকানো এবং একে অপরের বিমান ঘাঁটিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমণের পর ১০ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়। 

ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতার উপর তৈরি করা সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদা। এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান এই পদমর্যাদা পেয়েছিলেন।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দপ্তর বলেছে, “মারকা-ই-হক ও অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুসের সময় উচ্চ কৌশল এবং সাহসী নেতৃত্বের ভিত্তিতে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শত্রুকে পরাজিত করার জন্য পাকিস্তান সরকার জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে (নিশান-ই-ইমতিয়াজ মিলিটারি) ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতির অনুমোদন দিয়েছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান মুনির “অনুকরণীয় সাহস ও দৃঢ়তার সাথে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ কৌশল ও প্রচেষ্টাকে ব্যাপকভাবে সমন্বয় করেছিলেন।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি প্রত্যাহার 

মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুজনের প্রত্যাহারের আদেশ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। 

আরো পড়ুন:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ফের এক মাস বাড়ল

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো গভীর বাণিজ্য সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ

মাদারীপুরের ডিসি মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে প্রত্যাহার করে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি মো. আব্দুস সামাদকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব করা হয়েছে। এই পরিবর্তন সম্পর্কেও মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

ডিসি পদে সাধারণত উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। 

চলতি বছরের ২০ মার্চ সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে উপ-সচিব পদমর্যাদার অনেক কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ডিসির নতুন পদায়ন করে বা পদোন্নতি দিয়ে তাদের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

ঢাকা/এএএম/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি প্রত্যাহার