গাজীপুর মহানগর এলাকার একটি কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার পর ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। রোববার সকালে গাছা থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকার রিয়াজ এক্সপোর্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। 

শ্রমিকদের ভাষ্য, পানি পানের পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

কর্মকর্তাদের দাবি, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানা পরিচালনা করেন।

ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা জানায়, রোববার সকালে নির্ধারিত সময়েই তারা কাজে যোগ দেন। পরে কারখানার সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে পানি পান করেন। এর কিছুক্ষণ পরই একে একে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের বেশ কয়েকজনকে দ্রুত স্থানীয় তাইরুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর পর কারখানা কর্তৃপক্ষ এক দিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।

কারখানাটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘কিছু শ্রমিক অসুস্থতাবোধ করেন, পরে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন, পানি পান করে অসুস্থ হয়েছেন; কিন্তু আমাদের কারখানায় হাইজিং (স্বাস্থ্যবিধি) মেইনটেইন করা হয়। ওই শ্রমিকদের সবাই এখন সুস্থ।’

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী রাশেদ জানান, কারখানার পানি পানের পর শ্রমিকদের পেটে সমস্যা দেখা দেয়। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলামের ভাষ্য, ওই কারখানার বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মুদি দোকানি গ্রেপ্তার

পাবনার চাটমোহরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় শাহীন আলম নামের এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরের বাসন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে শাহীনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’’ গ্রেপ্তার শাহীন উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড় শালিখা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে ও স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় আরেক মামলা দায়ের

দেবীগঞ্জে ধানখেত থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শাহীনের দোকানে বিস্কুট কিনতে যায় যায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রী। এ সময় দোকানের পাশের একটি বাড়িতে কাঁঠাল দেখানোর কথা বলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন শাহীন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন শাহীন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ