মা হওয়ার পর অভিনেত্রীদের জন্য কাজে ফেরা সহজ নয়। কিছুদিন আগেই মা হওয়ার পর কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ নানা বিষয় নিয়ে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ও নির্মাতা সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। এর মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অজয় দেবগন, কাজল, সাইফ আলী খান ও মণিরত্নম। এবার নতুন মায়েদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বললেন বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সবিস্তার কথা বলেছেন তিনি।

আরও পড়ুনমনে হচ্ছে মা হওয়ার বিষয়টা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন.

..১১ মে ২০২৫

রাধিকা গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো মা হন। তাঁর মা হওয়ার ব্যাপারটি সামনে আসে ‘সিস্টার মিডনাইট’ ছবির প্রিমিয়ারে।

‘সিস্টার মিডনাইট’ ছবির শুটিংয়ে রাধিকা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

অনলাইনে কোরবানির পশুর ‘লাইভ ওয়েটে’ দাম কম, দোকানে কেন বেশি

অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচায় যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁদের কাছে ‘লাইভ ওয়েট’ শব্দটা বেশ পরিচিত। এর অর্থ হলো পশুকে জীবন্ত ধরে সেটার কেজিপ্রতি ওজন বিবেচনা করা। অনলাইনে কোরবানির পশুর বিজ্ঞাপনে পশুর ছবির সঙ্গে ওজন, গায়ের রং, মোট দাম, ওজন অনুযায়ী কেজিপ্রতি মাংসের দাম ইত্যাদি তথ্য যুক্ত করে দেওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, লাইভ ওয়েটে প্রতি কেজি মাংসের যে দাম পড়ে, বাজারে বা দোকানে তার চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি হয়।

এবারের পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ফেসবুক আর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অ্যাগ্রো ফার্ম কিংবা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কোরবানির পশুর যেসব বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাতে দেখা গেছে, লাইভ ওয়েটের হিসাবে গরুর মাংসের কেজি মানভেদে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা ধরা হয়েছে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, মাংসের দামের এই তারতম্য কেন?

সহজ করে উত্তর দিলেন গাইবান্ধার দীপ্ত অ্যাগ্রোর কর্ণধার নকীব মাহফুজ। তিনি লাইভ ওয়েটে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৯০ টাকা দরে প্রচার চালাচ্ছেন। নকীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি জীবন্ত গরু যখন ওজন দেওয়া হয়, তখন মাংস ছাড়াও গরুর পুরো অংশকেই ধরা হয়। কিন্তু একটি গরুর ৬০ শতাংশের মতো মাংস থাকে, বাকি ৪০ শতাংশ বাদ যায় বা অন্যান্য অংশ থাকে। সেই হিসাবে, কোরবানির পশুর দাম বাজারের মতোই হয়।’

নকীব মাহফুজ আরও বলেন, গ্রাহকেরা হয়তো শুরুতে দামের এই তারতম্য বুঝতে পারেন না। তাঁরা গ্রাহকদের সেটা বুঝিয়ে দেন।

আরও পড়ুন‘ডিজিটাল হাট’ থেকে সরে গেল সরকার, অনলাইনে পশু কেনাবেচায় ব্যক্তি উদ্যোগ৭ ঘণ্টা আগে

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য এবং মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরুর মোট ওজনের ৫৫ শতাংশের মতো মাংস ও হাড়। বাকি ৪৫ শতাংশ কলিজা, চামড়া, ভুঁড়ি, রক্ত, মাথা, পা ইত্যাদির ওজন। বাজারে যে দাম ধরা হয়, সেটা ওই ৫৫ শতাংশের। কিন্তু লাইভ ওয়েটে দাম নির্ধারণে আস্ত একটি গরুকে ধরা হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ৪০০ কেজির একটি গরু থেকে ২১০ থেকে ২২০ কেজি মাংস হয়। সে ক্ষেত্রে কোরবানির পশুর লাইভ ওয়েটের প্রচারে কেজিপ্রতি দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, প্রথমে অনেকে লাইভ ওয়েট প্রচার করে গরু বিক্রি করেছিলেন। এই প্রবণতা এখন কমে এসেছে। কয়েকজন খামারি জানান, লাইভ ওয়েটে বিক্রি করা হলেও গরুর ওজন ও দাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঢাকায় কোরবানির পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি বেশি০৪ জুন ২০২৫

মাংস ব্যবসায়ী ও খামারিরা জানান, জীবন্ত অবস্থায় ৫০০ টাকা কেজি দরে ১০০ কেজি ওজনের একটি গরুর মোট দাম দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা। গরুটি থেকে মাংস ও হাড় পাওয়া যাবে ৫৫ কেজির মতো। দাম পড়বে প্রায় ৪৪ হাজার টাকার মতো (কলিজা, পা, মাথা ইত্যাদির দাম বাদ দিয়ে)। এর ফলে জীবন্ত অবস্থায় ৫০০ টাকা কেজিতে কেনা গরুর মাংসের প্রকৃত দাম পড়ছে ৮০০ টাকার মতো।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গরুর ওজন মাপা হয় ডিজিটাল স্কেলে। লাইভ ওয়েট পদ্ধতিতে কেজির হিসাব যদি ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাতে ক্রেতাদের আর ঠকার আশঙ্কা থাকে না।

আরও পড়ুন১৭ মণের কালো মানিক, অনলাইনে ছবি দেখে খামারে ভিড় করছেন লোকজন০৩ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ