নিরাপদ সড়ক, সাইক্লিস্ট হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন বিডি সাইক্লিস্ট সদস্যরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ওসমান গণি নামের একজন গত ১১ জুন চট্টগ্রামের হালিশহরে সাইকেল চালানোর সময় একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছেলেটির মৃত্যু হয়।

তারা আরও বলেন, প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিনেন লাইসেন্সবিহীন এক যুবক। ঈদের ছুটিতে বাবার গাড়ি নিয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে শহরের রাস্তায় চালাচ্ছিল তিনি। গাড়ির ধাক্কায় ছেলেটির মৃত্যু হলে ড্রাইভারকে আটক করে স্থানীয়রা। আটক লাইসেন্সবিহীন চালককে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়। কারণ, চালকের বাবা চট্টগ্রামের একজন ধণাঢ্য ব্যবসায়ী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বিডিসাইক্লিস্ট৷ সাইকেল চালাই আমরা। এটি দুর্ঘটনা নয়, একপ্রকার হত্যা। গাড়িচালকের আইন অনুযায়ী শাস্তি চাই। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। 

বক্তারা বলেন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি নিয়ে দিনে দুপুরে রাস্তায় কাউকে খুন করে। এমন কেউ যদি শাস্তি না পায়; তখন নৈরাজ্য না কমে বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

বিডি সাইক্লিস্ট সদস্যরা বলেন, এই নৈরাজ্যের ভেতরে আমরা চাই.

নিরাপদ একটা সড়ক, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ

পুরোনো ভবনের একটি ক্লাসরুম। দেয়ালের রং, পলেস্তারার অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। এ শ্রেণিকক্ষে সারিবদ্ধভাবে সাজানো বেঞ্চ। এক সারির প্রথম বেঞ্চে বসে আছেন টিভি অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী শারমীন। অন্য সারির শেষের দিকের বেঞ্চে বসা ইরফান সাজ্জাদ। তার কোলে বসে আছে একটি শিশু। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইরফান সাজ্জাদ তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন এই দম্পতি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কারণ এই ক্লাসরুমে স্ত্রী শারমীনের সঙ্গে তার প্রেমের সূচনা।    

আরো পড়ুন:

পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’

ছবির ক্যাপশনে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “গল্পটা শুরু এই ক্লাস রুম থেকেই। সালটা ছিল ২০০৬। আমি ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার, সে ছিল প্রথম সারির! ঠিক এই বেঞ্চগুলোতে আমরা বসতাম! সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রাম, অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ক্লাস তখন মূল ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নাম্বার রুমে হতো।” 

সময় রিক্রিয়েট করার কথা উল্লেখ করে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “আজকে অলমোস্ট ২০ বছর পর সময়টা রিক্রিয়েট করলাম; যদিও আমার কোলে আরো একজন ব্যাক বেঞ্চার আছে! ক্লাস রুমটা একই আছে, ক্লাসরুম একই থাকে শুধু চরিত্রগুলো বদলায়।” 

ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ফারজানা ববি নামে একজন লেখেন, “আহ! সেই দিনগুলোতে নতুন করে ফিরে গেলাম যেন তোমার স্ট্যাটাস পড়ে। তোমাদের তিনজনের গল্পে আমরাও আছি কিন্তু। শারমীনসহ আবার এলে সবাইকে ডাক দিও একদিন। শিঙাড়ারার আড্ডা খুব মিস করি।” 

আরেকজন লেখেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসাথে থাকুন, এটাই চাই ভাইয়া।” অপর্ণা বড়ুয়া লেখেন, “আমিও এ কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করেছিলাম। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন