কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত
Published: 19th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বালু ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় নাহিদুল ইসলাম রুপল (৩২) নামে এক সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলায় লাহিনী বটতলা এলাকার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া শহরের ডা. আবুল কাশেম লেন আড়ুয়াপাড়ার এলাকার আইয়ুব ইসলামের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল শাখার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে নাহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেলে কুমারখালী উপজেলা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে লাহিনী বটতলা এলাকায় পৌঁছালে পিছন থেকে বালু বোঝাই ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এ সময় চালক ও সহযোগী ট্রাক ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: হেলপার গ্রেপ্তার
নাহিদুল ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, লাশটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত ছ ত রদল ল ইসল
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হানের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি
৩৬ জুলাই বিপ্লবের ঐতিহাসিক বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় র্যালি করেছে জাতীয় যুবশক্তি, নারায়ণগঞ্জ জেলা। জাতীয় যুবশক্তি'র কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হানের নেতৃত্বে এই বিজয় র্যালির মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক বিজয়কে উদযাপন করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) বিজয় র্যালি নগরীর চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভ থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এসে শেষ হয়। পরে চব্বিশের সকল শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। সর্বশেষ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে বিজয় র্যালির উদযাপন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এ সময় নিরব রায়হান বলেন, গত ৫ই আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হাসিনার পতন হয়। বাংলার ইতিহাস মুক্ত হয় এক কলঙ্কিত অধ্যায় থেকে। এই দিনটি মুক্তিকামী সকল দেশপ্রেমী মানুষের কাছে অত্যন্ত খুশির একটি দিন। যা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
যে স্বাধীনতা অর্জন কোনোভাবেই সহজ ছিলো ন্া। ৪ বছর বয়সের শিশুরও দিতে হয়েছে জীবন। ছাদে খেলতে যেয়ে আমাদের ৬ বছরের রিয়া গোপও হারিয়েছেন তাঁর প্রাণ। এই প্রাপ্তির স্বাধীনতাকে আমরা উদযাপন করছি স্বগৌরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্মরণ করছি, সেইসব শহীদদের যারা জীবন বাজি রেখে এই দিনটি এনে দিয়েছেন৷ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি সেইসব আহত যোদ্ধাদের প্রতি—যাদের অঙ্গহানির মাধ্যমে এই বিজয় এসেছে।