বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‍“বাংলাদেশের সব ইসলামী দল, আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, ইসলাম পছন্দ করে এমন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পথে। এই ঐক্যের জন্য জামায়াত সর্বোচ্চ ছাড় দেবে ইনশাআল্লাহ। এবার সেই ঐক্য হবেই। সব ইসলামী দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, এবার ইসলামী দলগুলোর ভোটের বাক্স হবে একটি।” 

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে গাজীপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা বলেছি, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আগে স্থানীয় নির্বাচন এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। গত ৫৪ বছরে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি।”

আরো পড়ুন:

জুলাই বিপ্লবের সুফল ঘ‌রে তুল‌তে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হ‌তে হ‌বে: জামায়াত

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত

তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে হবে। এ দাবি শুধু জামায়াতের না, পুরো বাংলাদেশের মানুষের।” 

 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, “তিনটি ভুয়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা বলেছি, তাদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। পাচারকৃত টাকা ফেরত আনতে হবে। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, দ্রুত গণহত্যার বিচার কাজ শেষ করতে।” 

রফিকুল ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদের দোসর যারা ভেতরে-বাইরে থেকে সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকেও চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।” 

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জামায়াতের জেলা আমির ড.

মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মাওলানা সামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মো. খাইরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।

আরো পড়ুন:

১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার

১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়

যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।

ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ