ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ছাড়া গত সোমবার আসামির ভাই ডিবির এসআই সঞ্জয় কুমার বসাকের বিরুদ্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর গ্রামের রতন বসাক, অভিনাশ বর্মণ, রাজীব বসাক, রাধেশ্যাম ঘোষ এক গৃহবধূকে গত ৯ মার্চ কলাগাছের পাশে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সে সময় থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে ২০ মার্চ আদালতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামি রাজীব বসাকের আপন ভাই মুন্সীগঞ্জে কর্মরত ডিবি পুলিশের এসআই সঞ্জয় বসাক গত ২৮ জুন সকাল ১০টার দিকে বেলিশ্বর কালীমন্দিরের সামনে বাদীকে গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় বাদী গত ৬ জুলাই এসআই সঞ্জয় বসাকের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পর সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।

মামলার বাদী বলেন, ‘এক আসামির ভাই পুলিশের এসআই সঞ্জয় বসাকের হুমকির কারণে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
মামলার সাক্ষী প্রকাশ চন্দ্র বসাকের ভাষ্য, তিনি ধর্ষণচেষ্টা মামলার সাক্ষী হওয়ায় আসামিরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করেছে। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তাঁর।

হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জে কর্মরত ডিবি পুলিশের এসআই সঞ্জয় বসাক বলেন, ‘যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে আমার দুই বছরেও দেখা হয়নি। হুমকি দেব কিভাবে?’

এ বিষয়ে ধামরাই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মারুফ হাসান জানান, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন বাদী। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ মক বস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩