চলতি মাসে ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯৩ কোটি ডলার
Published: 27th, July 2025 GMT
নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৬ দিনে দেশে ১৯৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা)।
রবিবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, জুলাইয়ের ২৬ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা আগের বছর একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে জুলাইয়ের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।
সদ্য সমাপ্ত ২০৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ঢাকা/নাজমুল//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম ট য ন স এস ছ ২৬ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে এ আলোচনা সভা শুরু হয় । এতে অংশ নেন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।
আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলিকে স্মরণ এবং তা থেকে অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা নেওয়া।
আরো পড়ুন:
বাকৃবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে পশুপালন অনুষদে বিক্ষোভ
সাজিদের মৃত্যু নিয়ে ইবি প্রশাসনের প্রহসনের অভিযোগ
বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুমিত আল রশিদের সভাপতিত্বে ও ছাত্র উপদেষ্টা মিসেস তানজিনা বিনতে নূরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান। আলোচক ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার।
শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবু সালেহ। এরপর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মৃতিচারণমূলক অংশে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভাগের চার শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। জুলাইয়ের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তারা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং প্রগতিশীল চিন্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার বলেন, “এই আন্দোলন শুধুই জুলাইয়ের নয়—এটি ১৭ বছর ধরে চলে আসা দীর্ঘস্থায়ী ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেভাবে দলীয়করণ ও অপরাজনীতিকীকরণ করা হয়েছিল, জুলাই আন্দোলনের বিপ্লবী স্পৃহাকে যেন সেভাবে কুক্ষিগত না করা হয়, সে ব্যপারে সবার সতর্ক থাকা উচিত।”
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “আমাদের দেশের শত বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এখানে সবসময়ই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও সংগ্রাম হয়েছে। তাই ঐতিহাসিকভাবেই জাতিগতভাবে আমরা ন্যায়ের লড়াইয়ের সৈনিক।”
তিনি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে দেশের ভবিষ্যত নির্মাণে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
শেষে বিভাগীয় শিক্ষক ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. আহসানুল হাদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী