‘আয়নাবাজি’র পর প্রেক্ষাগৃহে আসছে অমিতাভের ‘রিকশা গার্ল’
Published: 13th, January 2025 GMT
‘আয়নাবাজি’খ্যাত নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী নির্মাণ করেছেন ‘রিকশা গার্ল’। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি পুরস্কারও জিতেছে। এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। আগামী ২৪ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এটি।
যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিন্সের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমা ২০২০ সালে দেশে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে বদলে যায় সেই পরিকল্পনা। রবিবার (১২ জানুয়ারি) সিনেমাটির নতুন ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে। এ সময় মুক্তির তারিখও ঘোষণা করা হয়।
শিল্পীমনা নারী নাঈমাকে ঘিরে ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার গল্প আবর্তিত। সে ছবি আঁকতে পছন্দ করে। কিন্তু দরিদ্র সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছবি এঁকে যেহেতু পয়সা মেলে না, তাই নাঈমা কোনো উপায় না পেয়ে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়। জটিল হতে থাকে সিনেমার গল্প। প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়, নাঈমা কীভাবে তার স্বপ্নপূরণ করবে!
আরো পড়ুন:
‘তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা’
সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন যীশুর কন্যা, নীরবতা ভাঙলেন সারা
‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান। এছাড়াও রয়েছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্র প্রমুখ। নাঈমার মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে মোমেনা চৌধুরী ও বাবার চরিত্রে নরেশ ভূঁইয়াকে। ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে আছে বঙ্গ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছোট্ট মেয়েকে কেন নিয়মিত ই মেইল পাঠাচ্ছেন আলিয়া
মেয়ে রাহা আসার পর বদলে গেছেন মা অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। জন্মের পর থেকেই প্রতি মাসে রাহাকে একটি করে ই-মেইল লিখে পাঠিয়ে আসছেন আলিয়া। তাতে লেখা থাকে–আজ রাহা প্রথম হেঁটেছে এক পা, আজ সে দাদির কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিল, আজ সে বাবার গালে এক ছোট্ট চুমু খেয়েছে। সেই ই-মেইলের সঙ্গে থাকে অসংখ্য ছবি–কখনও বাবার সঙ্গে খেলায় মত্ত, কখনও মায়ের কাঁধে মাথা রেখে ঘুম। ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টে সাজিয়ে রাখা থাকে ছোট ছোট মুহূর্তের জীবন্ত স্মৃতি। আলিয়া বলেন, আমি চাই, রাহা যখন বড় হবে। ওর যখন ১৫ বছর বয়স হবে, তখন আমি তাকে মেইল বক্সটি দিয়ে বলব, ‘এই দেখো, এগুলো তোমার ছোটবেলার গল্প। এইভাবে আমরা তোমায় ভালোবেসে বড় করেছি।’ রাহা আসার পর অনেক কিছুই বদলেছে আলিয়ার জীবনে। আগের তুলনায় অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে পারেন তিনি, অনেক কিছু বুঝে নিতে পারেন সময় নিয়ে। এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ‘আমি নিজেকে নতুন করে চিনতে শিখেছি।’ তবে এই মাতৃত্বের যাত্রা একেবারে খোলামেলা ছিল না শুরু থেকেই। প্রথমদিকে মেয়েকে আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন রণবীর ও আলিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরুতে রাহার একটিও ছবি প্রকাশ করেননি। কারণ ক্যামেরা আর ফ্ল্যাশ থেকে রাহাকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন তারা। সময়ের সঙ্গে বদলে যায় অনেক কিছু। একদিন আলিয়া নিজেই নিয়ে এলেন ছোট্ট রাহাকে পাপারাৎসির সামনে। সেদিন সবাই অবাক হয়েছিলেন। কারণ, ক্যামেরা দেখে ভয় পায়নি একরত্তি রাহা। সাবলীলভাবে তাকিয়ে পোজও দিয়েছিল। যেন একেবারে তৈরি সে, এই দুনিয়ার আলো আর ক্যামেরার ঝলক সামলাতে। এরপর চলতি বছরে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার পর থেকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন রণবীর ও আলিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রাহার সব ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। পাপারাৎসিকে অনুরোধ করেছেন, যেন রাহার ছবি না তোলা হয়। রণবীর তো এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুপস্থিত। আলিয়াও এখন মেয়েকে নিয়ে খুবই রক্ষণশীল। তিনি চান, রাহা নিজের ইচ্ছায় বড় হোক, নিজের শর্তে পরিচিত হোক দুনিয়ার সঙ্গে।
ক্যামেরার সামনে আলিয়া নানান চরিত্রে অভিনয় করেন। বাস্তব জীবনে তাঁর সেরা চরিত্র ‘মা’ এবং সেই চরিত্রে তিনি নিজের জন্য নয়, রাহার জন্য প্রতিটি দিন লিখে রেখে যাচ্ছেন একেকটি দৃশ্য। একেকটি লাইভ মেমোরি। যেন একদিন সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন জানবে তার জীবনের গল্প; সে যেন দেখে, ভালোবাসা কেমন করে জমা হয় প্রতিদিনের ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তে। সূত্র: আনন্দবাজার।