2025-05-23@22:41:04 GMT
إجمالي نتائج البحث: 7
«প র ববঙ গ»:
গণতন্ত্রের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার তো নিতান্তই স্বাভাবিক দাবি। কিন্তু ১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে যে নির্বাচন হয়, তাতে মুসলিম লীগের যে দুর্দশা ঘটে, তাতেই শাসকরা বুঝে ফেলেন– সর্বজনীন ভোটাধিকার দিলে সারা পাকিস্তানে তাদের একই দশা ঘটবে। তার প্রধান কারণ পূর্ববঙ্গ তো বিপক্ষে যাবেই, পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাববিরোধী প্রদেশগুলোও যে পক্ষে থাকবে– এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে তারা প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর ওই শাসকদের পক্ষে প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের দাবি মেনে না নিলে পূর্ববঙ্গে তো বটেই, পশ্চিম পাকিস্তানেও মানুষকে শান্ত রাখার উপায় ছিল না। ইয়াহিয়া খান তাই দাবিটি মেনে নিয়েছিলেন। যত লোক তত ভোট– এই দাবি মেনে নিলে পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে; তার ফলে ৫৬ শতাংশ পাকিস্তানি নাগরিকের বাসভূমি পূর্ববঙ্গ কর্তৃত্ব করবে পশ্চিম পাকিস্তানের ওপর–...
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ভারত ভাগের সময় যুক্ত বাংলা চেয়েছিলেন। অর্থাৎ পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে, এমনটাই চাওয়া ছিল তার। এতে সায় ছিল মহাত্মা গান্ধীরও। কিন্তু তার আগের বছর অর্থাৎ ১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছিল। এই দাঙ্গার প্রভাব পড়েছিল দেশ ভাগেও। কীভাবে ভারত ভাগ হয়েছিল, আর সেই ভাগে বাংলা দিখণ্ডিত হয়েছিল চলুন সেই ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো যাক। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ভারত ভাগ করে তৈরি হয়েছিল দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র। লাখ লাখ মানুষ ছিন্নমূল হয়েছিলেন, ভেঙে গিয়েছিল অনেক পরিবার। ১৯৪৭ সালের ৩ রা জুন তৎকালীণ বড় লাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন যখন ভারত ভাগের ঘোষণা করলেন তার কয়েক মাস আগের কথা, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সদ্য পদত্যাগ করা শরৎচন্দ্র বসু সেই সময় প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ...
প্রেম, পূজা ও প্রকৃতির কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নদীরও কবি। তাঁর কবিতা, সংগীত, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধে যেভাবে নদী প্রসঙ্গ, চরিত্র, উপমা হিসেবে উঠে এসেছে, তার তুলনা পাওয়া কঠিন। আর এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশ। কবির ঘনিষ্ঠ শিষ্য ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক প্রমথনাথ বিশী লিখেছেন– ‘পদ্মা ও নদীময় বঙ্গ যে তাঁর কাব্যকে একটি বিশেষ দিকে প্ররোচিত করেছিল তাতে কারো সন্দেহ নাই’ (শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ, ১৯৭২)। বর্তমান বাংলাদেশের তিনটি পরগনা ছিল ঠাকুর পরিবারের জমিদারি– বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার বিরাহিমপুর পরগনা, এর সদর কাছারি শিলাইদহে; বর্তমান নওগাঁ জেলার কালীগ্রাম পরগনা, এর সদর কাছারি পতিসরে; বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার সাজাদপুর পরগনা, এর সদর কাছারি বর্তমান শাহজাদপুরে। প্রথম পরগনাটি গঙ্গা বা পদ্মা অববাহিকায় এবং পরের দুই পরগনা ব্রহ্মপুত্র বা যমুনা অববাহিকায় অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...
স্বাধীনতা ও মুক্তির কথা আমরা একসঙ্গেই শুনে থাকি, তারা কাছাকাছি বটে, কিন্তু এক বস্তু নয় মোটেই। তফাৎ আছে। যেমন ধরা যাক, ইংরেজ আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধ, সেটিকে বলা হয় স্বাধীনতাযুদ্ধ। অন্যদিকে একাত্তরে আমাদের যে যুদ্ধ তাকে আমরা বলি মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের ওই যুদ্ধের আগে রাজনৈতিক দাবিটা প্রথমে ছিল স্বায়ত্তশাসনের, পরে আন্দোলন রূপ নিল স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আকাঙ্ক্ষাটা চলে এলো মুক্তির, স্বাধীনতার যুদ্ধ পরিণত হলো মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তি আলাদা কিসে স্বাধীনতা থেকে? তফাৎটা কোথায়? হিসাব করলে দেখা যাবে, স্বাধীনতাকে চেষ্টা করলে গণনা করা যায়। যেমন বাকস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, পছন্দ করার স্বাধীনতা, নারীর স্বাধীনতা; কিন্তু মুক্তিকে ওইভাবে গণনা করা হয় না। মুক্তি একটি সার্বিক অবস্থা, যার ভেতর অনেক রকমের স্বাধীনতা থাকতে পারে, থাকেও। ফলের ভেতরে থাকে...
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের মরিয়ম আশ্রমে আয়োজিত ‘মা-মারিয়ার তীর্থোৎসব’ শেষ হয়েছে। দুই দিনের এই উৎসবে সারা দেশ থেকে প্রায় আট হাজার খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী অংশ নেন। ‘মা-মারিয়ার হাত ধরে, মেষপালকের সঙ্গে বিশ্বাসের পথে’- এই প্রতিপাদ্যে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া উৎসব আজ শুক্রবার সকালে শেষ হয়। দুই দিনের উৎসব উপলক্ষে দেয়াঙ পাহাড়ের আশ্রম ও আশপাশের এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। উৎসবের সমাপ্তি হয় বিশ্বশান্তি ও মানব জাতির কল্যাণের জন্য প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। আয়োজকেরা জানান, পবিত্র খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তীর্থোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এতে পৌরোহিত্য করেন চট্টগ্রাম ক্যাথলিক আর্চ ডাইয়োসিসের আর্চবিশপ সুব্রত লরেন্স হাওলাদার। এরপর নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করেন ভক্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পর তীর্থযাত্রীরা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আলোক শোভাযাত্রায়...
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের মরিয়ম আশ্রমে আয়োজিত ‘মা-মারিয়ার তীর্থোৎসব’ শেষ হয়েছে। দুই দিনের এই উৎসবে সারা দেশ থেকে প্রায় আট হাজার খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী অংশ নেন। ‘মা-মারিয়ার হাত ধরে, মেষপালকের সঙ্গে বিশ্বাসের পথে’-এই প্রতিপাদ্যে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া উৎসব আজ শুক্রবার সকালে শেষ হয়।দুই দিনের উৎসব উপলক্ষে দেয়াঙ পাহাড়ের আশ্রম ও আশপাশের এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজে। আজ শেষ দিনে উৎসবের সমাপ্তি হয় বিশ্বশান্তি ও মানব জাতির কল্যাণের জন্য প্রার্থনার মধ্য দিয়ে।আয়োজকেরা জানান, পবিত্র খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তীর্থোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পবিত্র খ্রিষ্টযাগের পৌরোহিত্য করেন চট্টগ্রাম ক্যাথলিক আর্চ ডাইয়োসিসের আর্চবিশপ সুব্রত লরেন্স হাওলাদার। এরপর নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করেন ভক্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পর তীর্থযাত্রীরা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আলোক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। উৎসবের...
কলকাতায় আজ শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিসহ দেশ-বিদেশের শিল্পপতিরা। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের।গত বছর এই সম্মেলন হয়নি। সর্বশেষ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ২১ ও ২২ নভেম্বর। সেবারও যোগ দিয়েছিলেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানিসহ দেশ–বিদেশের শিল্পপতিরা।গত শিল্প সম্মেলনে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি ঘোষণা দিয়েছিলেন, আগামী তিন বছরে বাংলায় ২০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। তার আগেই বাংলায় তারা ৪৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে। বলেছিলেন, বাংলার শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কৃষিক্ষেত্রকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আরও উন্নত করা হবে। একই সঙ্গে রাজ্যের টেলিযোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করে জিওকে আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হবে।আজ বেলা দুইটায় এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন বা বেঙ্গল...