জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাবিপন্ন পাহাড়ি কচ্ছপ উদ্ধার
Published: 20th, October 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাবিপন্ন হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে বন্য প্রাণী–সংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা কচ্ছপটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিশমাইল এলাকায় কয়েকটি শিশু কচ্ছপটি নিয়ে খেলছিল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী অরিত্র সাত্তার দেখতে পান। তিনি কচ্ছপটি বাসায় নিয়ে আসেন এবং বন বিভাগকে খবর দেন। এরপর আজ বন্য প্রাণী–সংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা কচ্ছপটি নিয়ে যান।
শিক্ষার্থী অরিত্র সাত্তার বলেন, ‘বিশমাইল এলাকায় এ বিপন্ন প্রজাতির পাহাড়ি কচ্ছপটি আমি দেখতে পাই। কয়েকজন বাচ্চা এটি নিয়ে খেলা করছিল। তারপর তাদের বুঝিয়ে আমি এটি বাসায় নিয়ে আসি। এটা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে না, তাই বন বিভাগকে খবর দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে বন্য প্রাণী–সংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তা (প্রাণী সংরক্ষক) জসিম শেখ প্রথম আলোকে জানান, এটি মূলত মহাবিপন্ন প্রজাতির হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ। এরা ডাঙায় বসবাস করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এটার জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রাণীটি নিয়ে যাচ্ছি। পরে আমাদের সিনিয়র স্যারেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এদের উপযুক্ত পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান জানান, হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপটি মূলত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বাস করে। কালেভদ্রে সিলেট অঞ্চলেও পাওয়া যায়। এরা পানিতে বাস করে না। তিনি বলেন, মূলত ডাঙায় এদের আবাসস্থল এবং শাকসবজি–জাতীয় তৃণ খেয়ে বেঁচে থাকে। অনেকে এ জাতের কচ্ছপ পোষার জন্য নিয়ে আসে। মনে করে, পুকুরে তারা ছেড়ে দেবে। কিন্তু এরা পানিতে থাকে না, ডাঙায় থাকে। তখন তারা ছেড়ে দেয়। এটাও হয়তো সে রকম কিছু হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে এসব কচ্ছপ বাস করতে পারবে না, বিষয়টি এমন নয়। তবে যেহেতু এটা পাহাড়ি বিপন্ন প্রাণী, কাজেই এদের পাহাড়ের উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া যৌক্তিক হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন য প র ণ পর ব শ ব স কর
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে আইএইজির ১৫তম এশিয়ান আঞ্চলিক সম্মেলন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং জিওলজি এন্ড দ্যা এনভায়রনমেন্টের (আইএইজি) ১৫তম এশিয়ান আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সম্মেলন আইএইজি বাংলাদেশ ন্যাশনল গ্রুপ ও নেপাল সোসাইটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং জিওলজির (এনএসইজি) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল পৌনে ৫টায় দুটি সেশনের মাধ্যমে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রাবিতে দোয়া
চবি ক্যাম্পাসে ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, আইএইজি বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রুপের সভাপতি ড. এ. টি. এম. শাখাওয়াত হোসাইন, সহ-সভাপতি মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরুজ আলম, কোষাধ্যক্ষ ড. হোসাইন মোহাম্মদ সায়েম প্রমুখ। এছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ, গবেষক, অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সম্মেলনে কাঠামোগত ভূতত্ত্ব, ভূমিকম্প ভূতত্ত্ব, সক্রিয় টেকটোনিক্স ওপর স্লাইড প্রেজেন্টেশন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী মুকিত আজমাইন শাহরিয়ারসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা তাদের গবেষণা তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘‘আমি গর্বিত যে জাবি ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ প্রথমবারের মতো নেপাল এবং বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সম্মেলন আয়োজন করেছে। এখানে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, জলবায়ু, ঝুঁকি এবং পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদের একত্রিত করেছে। ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান শক্তি ও এশীয় সম্মেলনের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই একটি স্থিতিশীল এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এই সম্মেলন বাংলাদেশ ও বাইরের সকল তরুণ ভূ-বিজ্ঞানি এবং পেশাদারদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।’’
ঢাকা/আহসান/বকুল