স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ
Published: 3rd, November 2025 GMT
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং তাঁদের দুই মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো.
লোটাস কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে বলা হয়, লোটাস কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশমিরি কামালের আবেদনে বলা হয়, মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকা অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদ তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ২০৭ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশফি কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা বৈধ করতে নিজ কন্যা কাশফি কামালের নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া কাশফি কামালের নামে খোলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন।
নাফিসা কামালের আবেদনে দাবি করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধ ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা বৈধ করতে মেয়ে নাফিসা কামালের নামে স্থানান্তর করেছেন। এখানেও নাফিসা কামালের নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। তাঁর নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ তাঁদের আয়কর নথি তলব চেয়ে আবেদন করেন। শ ম রেজাউল করিমের আয়কর নথি তলবের আবেদনে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর নিজের নামে ১২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ টাকার লেনেদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রেজাউল করিমের আয়কর নথি পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
ফিরোজা পারভীনের আয়কর নথি তলবের আবেদনে বলা হয়, ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ভোগ দখলে রাখার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁর আয়কর নথি পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।