নতুন গবেষণা বলছে, কালো প্লাস্টিকের পাত্র কেন বেশি বিপজ্জনক
Published: 20th, October 2025 GMT
মার্কিন গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। কালো প্লাস্টিকে একধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা আগুন ধরার ঝুঁকি কমানোর জন্য প্লাস্টিকে মেশানো হয়।
কালো প্লাস্টিকে ডেকা-বিডিই, টিবিবিপিএ এবং আরডিপির মতো রাসায়নিক থাকে। এসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির জন্য অনুমোদিত। কিন্তু আমরা গবেষণায় দেখেছি, রিসাইকেল (পুনর্ব্যবহার) প্রক্রিয়ায় এসব প্লাস্টিক খেলনা, খাবার প্যাকেজিং ও রান্নার সরঞ্জামের মতো পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে । ফলে বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো এসব পণ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।মেগান লিউ , ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর গবেষক দলের প্রধানরাসায়নিকগুলো আমাদের শরীরে ও খাদ্যশৃঙ্খলে ঢুকে পড়ছে। স্বল্প মাত্রায়ও এসব রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর ফলে ক্যানসার, হরমোনজনিত সমস্যা, স্নায়বিক ক্ষতি, প্রজনন ও বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনদূষণ যখন ঘরের ভেতর২৮ এপ্রিল ২০২২ডেকা-বিডিই একটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর এই গবেষণায় গবেষকেরা কিছু নমুনায় অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১ হাজার ২০০ গুণ ডেকা-বিডিই পেয়েছেন!
তাহলে কী করা উচিতগবেষকেরা কালো প্লাস্টিক ঘর থকে সরিয়ে ফেলতে বলছেন। তাঁরা এটির পুনর্ব্যবহারকেও নিরুৎসাহিত করছেন। এর পরিবর্তে স্টেইনলেস স্টিল বা কাঠের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
অভিভাবকদের শিশুর খেলনার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিকের খেলনার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাদানে তৈরি খেলনা খুঁজে নিতে বলেছেন গবেষকেরা।
বিষাক্ত এসব রাসায়নিকের সংস্পর্শ কমানোর জন্য আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যেমন নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা এবং জানালা খুলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। এতে ধুলা বা বাতাসে জমে থাকা রাসায়নিক দূর হয়। ঘন ঘন হাত ধোয়া ও ভেজা কাপড় দিয়ে মেঝে মোছা ধুলার দূষণ থেকে বাঁচাবে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
আরও পড়ুনপ্লাস্টিক বোতলের পানি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?০৮ জুন ২০১২.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যা, সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ
রাজধানীর আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে দুর্বৃত্তদের হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য মোঃ জুবায়েদ হোসেন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদল।
সোমবার (২০ জুলাই ২০২৫) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম। এ সময় ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভূবণ আহমেদ, মোতালিব, সুমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, “জুবায়েদ হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
আমিনুল ইসলাম বলেন, “জুবায়েদ ছিল আমাদের মতোই একজন ছাত্র একজন স্বপ্নবান তরুণ। তাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তারা কেবল একজন ছাত্র নয়, গোটা ছাত্র সমাজের ওপর আঘাত হেনেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই এই হত্যার বিচার না হলে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রদলের একজন কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা প্রমাণ করেছে তারা মানুষের জান-মালের কোনো মূল্য দেয় না। এ ধরনের জঘন্য ঘটনার বিচার না হলে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।” বিক্ষোভ শেষে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে একটি স্মারকলিপি ও প্রদান করা হয়।