বন্দরে রনি বাহিনীর তান্ডব, গুলিবর্ষণ ও লুটপাট
Published: 16th, January 2025 GMT
বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ১নং মাধবপাশা সেনপাড়া এলাকায় অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে কুখ্যাত মাদক সন্ত্রাসী রনি ওরফে তাউরা রনি ও তার বাহিনী। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী,রাহাজানি ও খুন-খারাবিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে দুর্র্ধষ এই চক্রটি। কারণে-অকারণে অহেতুক এলাকাবাসীর উপর অত্যাচারের স্টীমরোলায় চালায় তারা।
রনি বাহিনীর সদস্যরা ভয়ংকর অস্ত্রধারী হওয়ায় নিরীহরা প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না। যে কারণে বিনাবাধায় তারা এলাকায় যাচ্ছেতাই করে বেড়াচ্ছে। এসবের শেল্টারে রনি ওরফে তাউরা রনি নিজেই সরাসরি নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অপকর্মের ধারাবাহিকতায় রনি বাহিনী বেশ কিছুদিন ধরে ১নং মাধবপাশা বড় জামে মসজিদের টয়লেটের তালা ভেঙ্গে সেটি জোরপূর্বক ব্যবহার করে আসছিল।
এ ব্যাপারে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। এক পর্যায়ে ১নং মাধবপাশার সইল্যা মিয়ার ছেলে রনি ওরফে তাউরা রনি,সেনপাড়ার অকিলউদ্দিনের ছেলে আশরাফুল,দুলাল মিয়ার ছেলে বাপ্পী, ২নং মাধবপাশার দীল মোহাম্মদের ছেলে ইনসান,রনির স্ত্রী সিমু রানী,দুলাল মিয়ার স্ত্রী পিয়ারা বেগমসহ ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ দল গত ১৫ জানুয়ারী রাত ১১টায় ওই মসজিদের স্টোর রুমের তালা ভেঙ্গে প্রায় দেড়লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ সময় হামলাকারীরা দেশী-বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘারমোড়া এলাকার কালাচান মিয়ার ছেলে ইসলামের বসত ঘরে ৩রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতংক সৃষ্টি সৃষ্টিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ি-ঘর কোপায়। পরে তারা ইসলামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে নগদ ১লাখ টাকা নিয়ে যায়।
বর্তমানে সন্ত্রাসী রনি বাহিনীর ভয়ে তটস্থ ইসলামসহ আশ পাশের পরিবারের লোকজন। উপায়ন্তর না পেয়ে ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলার শিকার ভুক্তভোগী ইসলাম বাদী হয়ে রনি ও তার বাহিনীর ৫ সদস্যের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে বন্দর থানা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থানীয় ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন
ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির এক জনসভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াবে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করে দিয়েছেন— দল তাদের দায়িত্ব নেবে না।”
রবিবার (১৫ জুন) গাংগুটিয়া ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে কাওয়ালীপাড়া-নবগ্রাম বাজার কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্ব জনসভায় উপজেলার গাংগুটিয়া, আমতা, বালিয়া, কুশুরা ও সানোড়া ইউনিয়নের বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের সামনে লড়াই এক দিকে নয়। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই সময় আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমরা মোনাফেক, মীরজাফর সবাইকে নিয়ে একত্রে চলছি। আমরা এই চলাটা চাই না। আমরা চাই, দলে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, সুন্দর থাকবে। সেখান থেকে যোগ্যরা এগিয়ে আসবে, আমরা সবাই তার সঙ্গে থাকব। এখানে ঐক্য ছাড়া বিকল্প কিছু নাই। যারা সন্ত্রাসী করবে, তারেক রহমান পরিষ্কার বলেছেন, তিনি তাদের দায়িত্ব নেবেন না। অর্থাৎ দল তাদের দায়িত্ব নেবে না। অতএব যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের বিএনপির বলে চিন্তা করবেন না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপি করে বিএনপির সুবিধা নিয়ে যারা আওয়ামী লীগের সময় আঁতাত করেছে। এখন বড় নেতা হয়েছে, তাদের বিষয় ঠান্ডা মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। যেমনটি তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সামনে একটা কঠিন নির্বাচন, ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন দেবে কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আপনাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এখানে আমরা সবাই জানি, ধামরাইয়ে নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দিতে পারলে কি হবে আমরা জানি। আমরা সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছি।’’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান খান ফরহাদ, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মধু, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম লাবু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এইচ এম লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এছাড়াও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুবদল নেতা মো. খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/এস