নিশোর দাগীতে কি তৌসিফ আছেন, জানা গেল একসঙ্গে ছবির রহস্য!
Published: 30th, January 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে একসঙ্গে দেখা গেছে আফরান নিশো ও তৌসিফ মাহবুবকে। একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরেছেন এবং কথা বলছেন। হুট করে তাদের এমন ছবি সামনে এলো কেনো? তাহলে কি তারা উভয় একসঙ্গে কোনো কাজ করছেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে ভক্ত ও অনুরাগীদের মধ্যে।
সেই ছবির সূত্র ধরে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল আসল তথ্য। ভালোবাসা দিবসের একটি নাটকের শুটিংয়ে এখন রাজশাহীতে আছেন তৌসিফ। পাশেই দাগী সিনেমার শুটিং করছিলেন আফরান নিশো। যে ছবিটি ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। পাশাপাশি শুটিং হওয়াতেই দেখা দুই অভিনেতার।
ছবির নেপথ্যের গল্প জানতে যোগাযোগ করা হয় তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি আর নিশো ভাই পাশাপাশি শুটিং সেটে শুটিং করছিলাম। শুটিং থেকে বের হওয়ার সময় আফরান নিশোর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। অনেক দিন পর নিশো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। তবে আমাদের একসঙ্গে কিছু আসছে না।
জানা গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রথম প্রথম প্রেম’ নামের একটি নাটকের শুটিং করছেন তৌসিফ। যদিও নাটকটির শুটিং করার কথা ছিলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু হুট করেই এ বিশ্ববিদ্যারয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে লোকেশন পরিবর্তন করে রাজশাহীতে নেওয়া হয়। এই নাটকের শুটিং করতে গিয়েই দেখা নিশোর সঙ্গে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা