নবম শ্রেণি থেকেই মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা আলাদা করে দেওয়া হোক, সেটা চান না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এ রকম বিভাজন আসলেই প্রয়োজন নেই, ভালোও না।

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

বাংলার ম্যাথের উদ্যোগে ‘ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিকস টিম চ্যাম্পিয়নশিপ-২৪’ এ অংশ নেওয়া ২৭ জন শিক্ষার্থীর সাফল্য উদ্‌যাপন উপলক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক।

আরও পড়ুননবম শ্রেণি থেকে আবারও বিভাগ বিভাজন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা০৪ জানুয়ারি ২০২৫

শিক্ষাক্রম (কারিকুলাম) পরিবর্তনের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘একটি পরিবর্তনশীল জায়গায় আমরা আছি। একদিকে যাচ্ছিলাম, সেদিকে গেলে আর ফেরত আসা যেত না বলেই পেছনের দিকে গেছি। পেছন থেকে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ড দিচ্ছে স্কলারশিপ, সুযোগ পাবেন যাঁরা৪ ঘণ্টা আগে

উচ্চতর গণিত কিংবা বিজ্ঞানের উচ্চতর কিছু বিষয় নবম শ্রেণি থেকে শুরু করতেই পেছনের দিকে যেতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘কেউ যদি নবম শ্রেণি থেকেই উচ্চতর গণিত নিতে চায়, সেখান থেকে যদি না নেয়, তাহলে পরে উচ্চমাধ্যমিকে গেলে কঠিন হয়ে যায়।’ 

সর্বশেষ যে শিক্ষাক্রম চালু হয়েছিল, সেটিকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা। 

আরও পড়ুনদশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে হবে এক বছরে০৫ জানুয়ারি ২০২৫

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ‘গণিতের সংস্কৃতিকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হলে.

..’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা হয়।

শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহার সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক হাসিনা খান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব মজুমদার, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সাইফুর রহমান, ইউএপির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের অধ্যাপক জি আর আহমেদ জামাল এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরুল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট নবম শ র ণ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। 

জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।

ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।

মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ