সুনামগঞ্জে বাণিজ্য মেলা বন্ধ না হলে লং মার্চ টু মেলা ঘোষণা
Published: 14th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জে বাণিজ্য মেলায় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে এবং প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের (১৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে মেলার কার্যক্রম শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ) বাদ জুম'আ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সচেতন তাওহীদী জনতার ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ষোলঘর একটি আবাসিক এলাকা, এখানে স্কুল-মাদ্রাসা-মসজিদ রয়েছে। এখানে কোনোভাবেই বাণিজ্য মেলা কাম্য নয়। তবু মেলা হচ্ছে। মেলার আড়ালে চলে অশ্লীল নৃত্য, মাইক ও উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানোয় আশপাশে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের করা মামলার আসামি যুবলীগ ক্যাডার মেলার আয়োজক। স্বৈরাচারের দোসররা কীভাবে সুনামগঞ্জে এখনও বুক ফুলিয়ে হাঁটে? আমরা শুরু থেকে মেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি তবুও জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিকে তোয়াক্কা না করে মেলার অনুমোদন দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি তিনি রাখেননি। আজ মেলার শেষ দিন। আমরা আবারও দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি আজ যেনো মেলা বন্ধ করা হয়।
এ সময় তারা মেলার সময় বাড়ানো হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে লং মার্চ টু মেলা করা হবে।
মানববন্ধনে বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুফতি আব্দুল হকের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আরিফ রব্বানীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাদানিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়েখ আব্দুল বছির, শহরের পূর্ব বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু সাইদ, তেঘরিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বদরুল আলম প্রমুখ।
মনোয়ার//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ
জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।”
চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।
২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা