দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে এশিয়া ল্যাবরেটরিজের
Published: 16th, February 2025 GMT
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ওষুধ কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের (এশিয়াটিক ল্যাব) মুনাফা বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে মিশ্র ধারা দেখা গেছে।
সেটা হলো, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস সামান্য বাড়লেও নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (এনওসিএফপিএস) কমেছে। যদিও নিট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য সামান্য বেড়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে এশিয়াটিক ল্যাবের শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬২ পয়সা। ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৯৬ পয়সা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা।
এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এশিয়াটিক র্যাবের এনওসিএফপিএস ছিল ৮৭ পয়সা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ৫২ দশমিক ৯৫ টাকা; ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যা ছিল ৫২ দশমিক ৫৮ টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ইপিএস সামান্য বৃদ্ধির কারণ হলো কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বৃদ্ধি। স্থগিত কর আয়/ব্যয়ের তারতম্য এবং অপারেটিং ও আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণেও ইপিএস বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে ইপিএস উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যার প্রধান কারণ হলো সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি।
এনওসিএফপিএস হ্রাসের কারণ হলো গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ হ্রাস এবং সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কোম্পানি এনএভিপিএস বাড়াতে পেরেছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা যোগ হওয়ার কারণে তা হয়েছে।
গত এক বছরে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৯ টাকা ৪০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল র একই সময় ২০২৪ স ল র ২০২৩ স ল র প এস ছ ল আর থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
জুন মাসের মাঝামাঝি আসতেই এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্য জুনে পরিস্থিতি এমন হয়নি। সে বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি ছিল।
গতকাল শনিবার আরও ১৬৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। আরও একজনের মৃত্যুর কথাও বলেছে। এই নিয়ে এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৯ জন।
গত বছর এই সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১৯৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯। আর মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ওই বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০২। আর ওই সময়ের মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ২৮ জন।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তিন বছরের মধ্যে এ বছরের জুনে রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে।
ঢাকা মহানগরে কমঅন্য প্রায় সব বছরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু প্রকোপ প্রথমে ঢাকা শহরে বা দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা দেয়। এরপর তা ক্রমান্বয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছর দেখা যাচ্ছে, বেশি রোগী ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় রোগী বেশি। দেশের দক্ষিণের এই জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মো. হালিমুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরগুনা শহরে ডেঙ্গু বেশি হওয়ার তিন কারণ আমরা আপাতত শনাক্ত করতে পেরেছি। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে কোনো কাজ করেনি। শহরে জলাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া মানুষ বৃষ্টির পানি ধরে রাখে। এগুলো মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক।’