২০২৪-২৫ অর্থ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ওষুধ কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের (এশিয়াটিক ল্যাব) মুনাফা বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে মিশ্র ধারা দেখা গেছে।

সেটা হলো, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস সামান্য বাড়লেও নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (এনওসিএফপিএস) কমেছে। যদিও নিট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য সামান্য বেড়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।

২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে এশিয়াটিক ল্যাবের শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬২ পয়সা। ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৯৬ পয়সা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা।

এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এশিয়াটিক র্যাবের এনওসিএফপিএস ছিল ৮৭ পয়সা; ২০২৩ সালের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ৫২ দশমিক ৯৫ টাকা; ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যা ছিল ৫২ দশমিক ৫৮ টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ইপিএস সামান্য বৃদ্ধির কারণ হলো কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বৃদ্ধি। স্থগিত কর আয়/ব্যয়ের তারতম্য এবং অপারেটিং ও আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণেও ইপিএস বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে ইপিএস উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যার প্রধান কারণ হলো সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি।

এনওসিএফপিএস হ্রাসের কারণ হলো গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ হ্রাস এবং সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কোম্পানি এনএভিপিএস বাড়াতে পেরেছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা যোগ হওয়ার কারণে তা হয়েছে।

গত এক বছরে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৯ টাকা ৪০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ল র একই সময় ২০২৪ স ল র ২০২৩ স ল র প এস ছ ল আর থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ৭ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
  • লভ্যাংশ দেবে না ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ও ইনটেক
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী