Samakal:
2025-05-01@04:53:26 GMT

বিদেশি বিনিয়োগে মন্দাদশা

Published: 15th, February 2025 GMT

বিদেশি বিনিয়োগে মন্দাদশা

বিদেশি বিনিয়োগে চলছে মন্দাদশা। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ ব্যাপক হারে কমে গেছে। নতুন বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবেও গতি কম। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক নানা সমস্যা এর বড় কারণ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করে হঠাৎ বিপুল সংখ্যক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোর মতো নীতি-অনিশ্চয়তায় আরও বেশি হতাশ হচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এদিকে বিনিয়োগে মন্দাদশা কাটার আপাতত কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
এফডিআই কমছেই
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সম্পর্কিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে দেশে নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে মাত্র ২১ কোটি ৩০ লাখ ইউএস ডলারের। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় নিট এফডিআই ৫৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৭১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে গেছে। গত কয়েক মাস ধরেই এফডিআই কমে যাওয়ার প্রবণতা চলছেই। 
এমনিতেই গত কয়েক বছর এফডিআইতে ছিল নিম্নমুখী প্রবণতা। ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট এফডিআইর পরিমাণ ছিল ১৭১ কোটি ডলার। সেটি কমতে কমতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নেমে আসে ১৪১ কোটি ডলারে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নীতি অনিশ্চয়তার কারণে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তা আরও কমে প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। 
ইপিজেডেও কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ
অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধার দিক থেকে তুলানমূলক এগিয়ে থাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলেও (ইপিজেড) কমেছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ। গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে ইপিজেডে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২২ শতাংশের বেশি। গত জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইপিজেডে বিদেশি বিনিয়োগ নেমেছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ ডলারে। 
নতুন বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবেও ভাটা
বিনিয়োগ প্রস্তাব সম্পর্কে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই নতুন বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব আসার গতি কমে গেছে। ২০১৬ সালে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয় বিডায়। ২০১৭ সালে নিবন্ধন হয় ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। 
এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতি বছরই তা কমছে। ২০২২ সালে বিডায় ৩০২ কোটি ২৩ লাখ ডলারের শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়। ২০২৩ সালে এটি কমে হয় ২২৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছে ২১৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৪ সালের শেষ অর্ধে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ আরও ব্যাপক হারে কমে গেছে। গত বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে বিডায় শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৬২ শতাংশ কম। ২০২৩ সালের একই সময়ে শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছিল ১২৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের। 
নানা কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ কমে যাওয়ার কথা উঠে এসেছে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এক জরিপে। জেট্রোর জরিপ প্রতিবেদেন বলা হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগে থাকা ৬১ দশমিক ২ শতাংশ জাপানি প্রতিষ্ঠান এখানে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। আগের জরিপের তুলনায় এ হার ১০ দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। দুই বছর আগের একই ধরনের জরিপে এ হার ছিল ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। ‘বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ এবং প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক ওই জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগে বড় ঝুঁকিগুলো হচ্ছে– রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অস্বচ্ছ নীতি ব্যবস্থাপনা, জটিল কর প্রক্রিয়া, অস্বচ্ছ ও মানহীন আইনি ব্যবস্থাপনা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বিনিয়োগ অনুমতি ও নিবন্ধন সনদ পেতে সময়ক্ষেপণ ইত্যাদি। 
নীতি অনিশ্চয়তায় হতাশা
বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, কভিড-১৯-এর প্রভাব কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রভাবে দেখা দেয় উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের। এ ছাড়া বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি সংকটের কারণে গত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই বিনিয়োগ পরিস্থিতি খারাপ। এর ওপর সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক পণ্যে শুল্ক-ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়টি হতাশা বাড়িয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মাঝে। 
দেশের মোট এফডিআইর ৯০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবীর বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গত কয়েক বছর ধরেই নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্থিতিশীলতা চান। একটা নিশ্চয়তা চান। আজকে শুল্ক-কর নিয়ে এক নীতি, কালকে আরেকটা– এমন হলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার সংকট, প্রশাসনিক নানা জটিলতা ইত্যাদি এফডিআইর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পর এলো শুল্ক-করে বড় পরিবর্তন। এফেক্টিভ ট্যাক্স রেট অনেক বেশি। অংশীজনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এতগুলো পণ্যে ট্যাক্স-ভ্যাট বাড়ানো হলো। এটা আনপ্রেডিক্টেবল। বিনিয়োগকারীরা প্রেডিক্টিবিলিটি চায়। সেটার অভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি। বাজেটের আগেই কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এতগুলো পণ্যের ট্যাক্স-ভ্যাট বাড়ানো হলো। সবার তো একটা বিজনেস প্ল্যান আছে। শুল্ক-কর নিয়ে কোনো ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস নেই। যারা সিদ্ধান্ত নেন, তাদের তো এটা ভাবতে হবে।’ 
একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলাের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এফডিআই নিয়ে এসেছে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই)। কারও সঙ্গে আলোচনা না করে বিপুল সংখ্যক পণ্যে হঠাৎ শুল্ক-কর বাড়ানোয় উদ্বিগ্ন প্রতিষ্ঠানটিও। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জেটিআই বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পল হোলোওয়ে বলেন, জেটিআই বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী। জেটি গ্রুপ গত ছয় বছরে এখানে প্রায় ২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের বিনিয়োগ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ধরে রাখার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো একটি টেকসই ও পূর্বানুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা। শিল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া হঠাৎ করে করের হার পরিবর্তন করা ও তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা এ সম্পর্কিত মৌলিক নীতি পরিপন্থি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বছর র একই সময় শতভ গ ব দ শ ড স ম বর র জন ত ক শ ল ক কর ন শ চয়ত ব যবস দশম ক সময় র

এছাড়াও পড়ুন:

রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন ব্র্যাক ব্যাংকের

২০২৪ সালে মুনাফার রেকর্ড গড়েছে বেসরকারি খাতের দেশীয় মালিকানাধীন ব্র্যাক ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি এককভাবে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফাসহ হিসাব করলে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফা দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের ইতিহাসে একক কোনো বছরে এটিই রেকর্ড মুনাফা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি এককভাবে মুনাফা করেছিল ৭৩০ কোটি টাকা। সেবার সমন্বিত মুনাফা ছিল ৮২৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের একক মুনাফা বেড়েছে ৪৮৪ কোটি টাকা বা ৬৬ শতাংশ। আর সহযোগী প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৬০৫ কোটি টাকা বা ৭৩ শতাংশ। এক বছরে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফায় এত বেশি প্রবৃদ্ধি আগে কখনো হয়নি।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছর ব্র্যাক ব্যাংক শুধু নিজেরা রেকর্ড মুনাফা করেছে তা নয়, দেশের ব্যাংক খাতের ইতিহাসেও এটি সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের রেকর্ড। দেশীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে যেখানে অতীতে কখনো কোনো ব্যাংকের মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি সেখানে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে দেড় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সর্বশেষ দেশীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ২০২৩ সালে মুনাফার যে তথ্য রয়েছে তাতে ওই বছরও সর্বোচ্চ মুনাফা করেছিল ব্র্যাক ব্যাংক, সেটি ছিল ৮২৭ কোটি টাকা।

গতকাল সোমবার ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। তাতে বছর শেষে সমন্বিতভাবে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার মুনাফার এই তথ্য উঠে এসেছে। ব্যাংকটি বলছে, গত বছর আমানত ও ঋণে খুব ভালো প্রবৃদ্ধি ছিল ব্যাংকটির। পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোও খুব ভালো ব্যবসা করেছে। এ কারণে মুনাফায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

রেকর্ড মুনাফা করায় সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশও ঘোষণা করেছে ব্যাংকটি। ২০২৪ সালের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত এই লভ্যাংশের মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস। এর আগে ২০১৭ সালে ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে নগদ ও বোনাস মিলিয়ে লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০ শতাংশ। সেই হিসাবে গত বছরের জন্য লভ্যাংশের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ব্যাংকের পর্ষদ সভায় আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয়। আগামী বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সাধারণ শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি নগদ যে লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে শেষ পর্যন্ত এজিএমে সেটি বহাল থাকলে ব্যাংকটি নগদ লভ্যাংশ বাবদ বিতরণ করবে ২২১ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে ব্যাংকটির শেয়ারধারীরা বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে পাবেন সাড়ে ১২টি শেয়ার।

এদিকে রেকর্ড মুনাফার ফলে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসও বেড়েছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯৫ পয়সায়। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইপিএস ২ টাকা ৬৫ পয়সা বা ৬২ শতাংশ বেড়েছে। সেই সঙ্গে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১১ পয়সায়। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ৩৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বা এনএভি বেড়েছে ৬ টাকা ৫১ পয়সা বা ১৭ শতাংশের বেশি।

গত বছর ব্র্যাক ব্যাংকের আমানতের বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির কারণে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লো বা নগদ প্রবাহও অনেক বেড়ে গেছে। বছর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬১ টাকায়। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ৩৭ টাকা।

ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন শেষে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ছিল ৫৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। আর ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৮৯টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা, ৩২৯টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১ হাজার ১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। ১৮ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
  • চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
  • শক্তিশালী ব্যালান্স শিট প্রবৃদ্ধিসহ ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য
  • ২০২৪ সালে রেকর্ড হারে বেড়েছে বিশ্বের সামরিক ব্যয়: সিপ্রির প্রতিবেদন
  • তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার
  • ৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন ব্র্যাক ব্যাংকের
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা মুনাফা ব্র্যাক ব্যাংকের
  • বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার