অপারেশন ‘ডেভিল হান্টে’ গাজীপুরে নতুন করে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে পাঁচজন এবং জেলা থেকে আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে গত আটদিনে গাজীপুরে ৩৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ৮টি থানায় অভিযান চালিয়ে গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৮ ফ্রেরুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ২১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরদিকে, গাজীপুর জেলার পাঁচটি থানায় অভিযান চালিয়ে গত ৮ দিনে ১৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখার) আলমগীর হোসেন জানান, “গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় দুইজন, কাশিমপুর থানায় দুইজন ও ডিবি পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। এখন পর্যন্ত ডেভিল হান্ট অভিযানে মহানগর পুলিশ ২১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।” 

আরো পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ৭ দিনে গ্রেপ্তার ৩৯২৪

শবে বরাতের রাতে আতশবাজি-পটকা ফোটালে ব্যবস্থা

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড.

চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, “ডেভিল হান্ট অভিযানে জেলা পুলিশ আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।” 

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা হয়। এতে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে আবুল কাশেম নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনার পরদিন শনিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে নাম না জানা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা  আওয়ামী লীগের কর্মী। ওদিন থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালিত হচ্ছে। 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সালিশে বেত্রাঘাত করায় সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৬

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাম্য সালিশে বেত্রাঘাত ও জরিমানা করার জেরে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে মামলা হলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেন গৃহবধূ। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম জাকিরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে সালিশ বৈঠক বসে।

বৈঠকে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৫০টি বেত্রাঘাত ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে যুবকের বড় ভাই প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রদল নেতা জাকিরসহ ছয়জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জাকিরসহ দু’জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত যুবকের বড় ভাই বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা জাকির ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সুবিধা আদায় করছে।’

ছাত্রদল নেতা এস এম জাকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকেসহ আমার স্বজনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।’ ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এতে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালিশে বেত্রাঘাত করায় সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৬