যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে ফিরছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নারী নীরা ট্যান্ডেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস (সিএপি) গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়।

দুই দশকের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা অনুযায়ী, নীরা সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ফিরবেন।

নীরা এমন একসময়ে সিএপির নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, যখন অনেক ডেমোক্রেটিক দাতা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁরা দলের জন্য তহবিল দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির কাছে পরাজিত ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থাও এখন দুর্বল। বর্তমান রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবিলা করার মতো কোনো বলিষ্ঠ, সুস্পষ্ট ডেমোক্রেটিক নেতা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। জনগণের ভোটের রায়ে ক্ষমতা হারানোর পর রাজনীতির মাঠে জোরালোভাবে ফিরে আসার জন্য সুসংগত বার্তা তৈরির ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট নেতারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি ভোটারদের মধ্যে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চায়, ট্রাম্পকে শক্তভাবে মোকাবিলা করতে চায়।

এমন পটভূমিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটির হাল ধরতে যাচ্ছেন নীরা। তিনি ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ছিলেন সিএপির নীরা।

বিদায়ী ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে যোগ দেওয়া আগে সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ছিলেন নীরা। তিনি বাইডেনের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেন। এর আগে নীরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাইডেনসহ বিভিন্ন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারেও কাজ করেছেন নীরা। এ ছাড়া সাবেক ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

সিএপিতে নতুন করে ফিরে আসার বিষয়ে নীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিতে পেরে তিনি রোমাঞ্চিত। আগের ধারাবাহিকতায় সিএপি একটি স্থিতিস্থাপক জোট গড়ে তোলার জন্য অ্যাজেন্ডা তৈরি করবে। আমেরিকার মৌলিক মূল্যবোধের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আক্রমণ মোকাবিলা করবে। একই সঙ্গে মার্কিনদের জীবনের সব স্তরে এই আক্রমণের ক্ষতি মোকাবিলা করা হবে।

নীরার এই বিবৃতি গতকাল সিএপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীরা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের এখন শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করারই সময় নয়, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন ও ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেদের নিজস্ব ধারণাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার সময়ও এখন।

আরও পড়ুনবাইডেনের উপদেষ্টা হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী০৬ মে ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’

কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।

আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আস্থা রাখতে চাই, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে: টুকু
  • ‘আমরা ভুগছি আর রাজনীতিবিদেরা ধনী হচ্ছেন, তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকার ফেলে দিয়েছি’
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবি: জামায়াত
  • ‘ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করা বিএনপির দায়িত্ব’
  • পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
  • বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি