ট্রাম্পবিরোধী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীরা ফিরছেন ডেমোক্র্যাট গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে
Published: 21st, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে ফিরছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নারী নীরা ট্যান্ডেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস (সিএপি) গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়।
দুই দশকের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা অনুযায়ী, নীরা সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ফিরবেন।
নীরা এমন একসময়ে সিএপির নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, যখন অনেক ডেমোক্রেটিক দাতা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁরা দলের জন্য তহবিল দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির কাছে পরাজিত ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থাও এখন দুর্বল। বর্তমান রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবিলা করার মতো কোনো বলিষ্ঠ, সুস্পষ্ট ডেমোক্রেটিক নেতা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। জনগণের ভোটের রায়ে ক্ষমতা হারানোর পর রাজনীতির মাঠে জোরালোভাবে ফিরে আসার জন্য সুসংগত বার্তা তৈরির ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট নেতারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি ভোটারদের মধ্যে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চায়, ট্রাম্পকে শক্তভাবে মোকাবিলা করতে চায়।
এমন পটভূমিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটির হাল ধরতে যাচ্ছেন নীরা। তিনি ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ছিলেন সিএপির নীরা।
বিদায়ী ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে যোগ দেওয়া আগে সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ছিলেন নীরা। তিনি বাইডেনের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেন। এর আগে নীরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাইডেনসহ বিভিন্ন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারেও কাজ করেছেন নীরা। এ ছাড়া সাবেক ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
সিএপিতে নতুন করে ফিরে আসার বিষয়ে নীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিতে পেরে তিনি রোমাঞ্চিত। আগের ধারাবাহিকতায় সিএপি একটি স্থিতিস্থাপক জোট গড়ে তোলার জন্য অ্যাজেন্ডা তৈরি করবে। আমেরিকার মৌলিক মূল্যবোধের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আক্রমণ মোকাবিলা করবে। একই সঙ্গে মার্কিনদের জীবনের সব স্তরে এই আক্রমণের ক্ষতি মোকাবিলা করা হবে।
নীরার এই বিবৃতি গতকাল সিএপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীরা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের এখন শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করারই সময় নয়, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন ও ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেদের নিজস্ব ধারণাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার সময়ও এখন।
আরও পড়ুনবাইডেনের উপদেষ্টা হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী০৬ মে ২০২৩.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করবে বলে আশা করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
লন্ডনে দুই নেতার বৈঠকের বিস্তারিত সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করারও আহ্বান জানিয়েছেন সাইফুল হক।
সরকারের এই উদ্যোগ বিলম্বিত বোধদয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, আরও আগে সরকারের এই বোধদয় হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিরোধ এড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মৌলিক কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যেত।
সব অংশীজনকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের রাস্তা সুগম হলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে তাঁর দল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আপসহীন ধারায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সমাবেশে সংহতি জানান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুর নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মীর, রেজাউল আলম, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মো. সালাউদ্দীন, মিজারুল রহমান ডালিম, আরিফুল ইসলামসহ পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতারা।