‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্র ব্যবহার করলে মামলার হুঁশিয়ারি
Published: 27th, February 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেসব গণমাধ্যম বা লেখক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র ব্যবহার করবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এমনকি তিনি এ বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের নতুন বই ‘অল অর নাথিং: হাউ ট্রাম্প রিক্যাপটেড আমেরিকা’ প্রকাশের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
আরো বেশি ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ ট্রাম্পের
উলফ এর আগেও ট্রাম্পের প্রশাসন নিয়ে ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ’ নামে আলোচিত বই লিখেছিলেন। যা ২০১৮ সালে বেস্টসেলার হয়।
নতুন বইটির প্রকাশক ক্রাউন পাবলিশিং জানিয়েছে, এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারের ১৮ মাসজুড়ে লেখা হয়েছে। এতে ট্রাম্প কীভাবে আবার ক্ষমতায় ফিরলেন, তার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
এ নিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘বেনামি’ বা ‘অব দ্য রেকর্ড’ উদ্ধৃতিসহ জাল বই এবং গল্পগুলো বের হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উলফের সর্বশেষ কাজকে ‘মানহানিকর কল্পকাহিনী’ আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই নির্লজ্জ অসততার জন্য বড় মূল্য দিতে হবে। আমি এটা আমাদের দেশের সেবা হিসেবে করব। কে জানে, হয়তো আমরা কিছু সুন্দর নতুন আইন প্রণয়ন করব।
বুধবার ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের খবর সংগ্রহে এপি, রয়টার্স ও ব্লুমবার্গসহ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি হোয়াইট হাউস। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত নতুন নীতি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলেছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাতে এনসিপির এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।
এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি ‘সংসদ নির্বাচন’ বিষয়ে দলটিকে আস্থায় আনতে সফল হয়েছে সরকার। জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। কিন্তু বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি।
নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে—এ কথা উল্লেখ করে এনসিপি আরও বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, জুলাই সনদ কার্যকর করা এবং বিচারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিণত করবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন–আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করবে।
জনগণের দাবি তথা জুলাই সনদ রচনা ও কার্যকর করার আগে নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষিত হলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদ রচনা এবং কার্যকর করেই আসন্ন জুলাইকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করার উদ্যোগ নিতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনসিপি।