নোয়াখালীতে স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 1st, March 2025 GMT
নোয়াখালী জেলা শহরে স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ আলম (২৬) জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মাধবসিংহ গ্রামের শহরবাড়ীর গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। ভিকটিম জেলা শহরের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ভিকটিমের মা অভিযোগ করে বলেন, “গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায়। কিন্তু ছুটির পরও সময় মতো বাসায় না আসায় আমি স্কুলে গিয়ে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসা-বাড়িতে খুঁজে পাইনি। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।”
আরো পড়ুন:
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ
রাবিতে অর্ধশত অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
“এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে কে বা কারা আমার মেয়েকে জেলা শহরের হাউজিং বালুর মাঠে ফেলে যায়। নৈশপ্রহরীরা দেখতে পেয়ে তাকে আমাদের বাসার গেটের সামনে আনলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তাকে খুবই বিধ্বস্ত অবস্থায় আমরা পাই। তার সারা শরীরে ক্ষতের আঘাত রয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।”
ভিকটিমের বড় বোন বলেন, “ভোরে বাসার দারোয়ান আমাদেরকে ডাক দিয়ে তুললে আমরা নীচে গিয়ে দেখতে পাই, আমার ছোট বোন অজ্ঞান অবস্থায় গেটের সামনে পড়ে আছে। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।”
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গেলে তত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার কাউকে পাওয়া যায়নি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, “ভিকটিমের মায়ের ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অপরাধী মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভিকটিম বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।”
নোয়াখালী/সুজন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে শিকারিদের হামলায় বন কর্মকর্তা আহত
সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের হামলায় পূর্ব বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব আহত হয়েছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ডিমেরচর এলাকায় হামলা করা হয়। পরবর্তীতে তিন শিকারিকে আটক করেছে বনরক্ষীরা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, হরিণ শিকারিদের আক্রমণে একজন বন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকা পড়ল বানর
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ৮ ফুট লম্বা অজগর অবমুক্ত
তিনি আরো জানান, বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তারা অভিযোগ দিলে এবং আসামিদের হস্তান্তর করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আটকরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের রাফি হাসান (২৬), রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া গ্রামের শহিদ মল্লিক (২৮) ও একই উপজেলার ঝালবাড়ি গ্রামের আল আমিন আকুঞ্জি (২৭)।
আহত সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘‘বন্যপ্রাণি রক্ষা ও হরিণ শিকাররোধে বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ডিমেরচর এলাকায় বনের ভেতরে হেঁটে টহল দিচ্ছিলাম। বনের মধ্যে হরিণ ধরার জন্য পেতে রাখা একাধিক ফাঁদ দেখতে পাই। সেখানে চার থেকে পাঁচজন শিকারিকেও দেখতে পাই। আমি দৌড়ে গিয়ে একজনকে ধরে ফেললে বাকি শিকারিরা ফিরে এসে আমাকে মারধর করে ধৃত শিকারিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’’
পরে বনরক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি হাঁটা ফাঁদ উদ্ধার করেন বলে জানান তিনি।
আহত রানা দেবকে তাৎক্ষণিকভাবে দুবলারচরের অস্থায়ী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলার পরপরই বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে তিন শিকারিকে আটক করে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী ও শরণখোলা রেঞ্জের অন্যান্য কর্মকর্তারা রাস পূজার দায়িত্ব পালনের জন্য দুবলার চরে অবস্থান করায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল