সমকালের সুহৃদ সমাবেশ ঝালকাঠি জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঝালকাঠি জেলা শাখা কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় এ কমিটি গঠন উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক আল আমিন বাকলাই। উপদেষ্টা নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটিতে সোনিয়া আক্তারকে সভাপতি, এসএম জুয়েলকে সহসভাপতি এবং মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম আশিককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া সীমান্ত দত্তকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, নিলয় আহম্মদকে সাংগঠনিক সম্পাদক, চাঁদনী আক্তার আরজুকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, রাতিকুল ইসলাম রাহাতকে কোষাধ্যক্ষ, রিয়া মনিকে প্রচার সম্পাদক, মোহাম্মদ আফরিনকে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, জান্নাতুল ফেরদৌসকে দপ্তর সম্পাদক, তাহিদা আক্তারকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক, উজ্জ্বল দুয়ারীকে সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক, রাকিবুল রায়হানকে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– মমিনুল হাসান সিয়াম, উজ্জ্বল দাস, চম্পা বেগম, হৃদয় দাস, রাতুল সাহা, জুবাইদা মিম। মোট ২০ সদস্যের এ কমিটি করা হয়েছে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার পাশাপাশি তরুণদের সংগঠন চর্চায় উৎসাহিত করার প্রত্যয়ে এ কমিটি ঝালকাঠি জেলায় কাজ করবে– এমনটাই প্রত্যাশা নবগঠিত কমিটির।

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ