মারাঠা সাম্রাজ্যের কথা উঠলেই ‘বাজিরাও-মাস্তানি’র কথা মনে পড়ে। সঞ্জয়লীলা বানসালির এই আলোচিত সিনেমা বাজিরাও আর মাস্তানির প্রেমকাহিনিকে ঘিরে বানানো হলেও এতে মারাঠা রাজ্যের একটা চিত্র পাওয়া যায়।

একনজরে
সিনেমা: ‘ছাবা’
জনরা: ঐতিহাসিক ড্রামা
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট
পরিচালক: লক্ষ্মণ উতেকর
অভিনয়: ভিকি কৌশল, রাশমিকা মান্দানা, অক্ষয় খান্না, ডায়ানা পেন্টি, আশুতোষ রানা, বিনীত কুমার সিং

তবে সম্প্রতি আলোচনায় মারাঠাদের এক বিস্মৃতপ্রায় রাজা। ‘ছাবা’ সিনেমায় দেখানো হয়েছে সাম্ভাজি মহারাজের কাহিনি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকেই লক্ষ্মণ উতেকরের ‘ছাবা’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। মুক্তির ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সিনেমাটিকে ঘিরে এখনো দর্শকদের রয়েছে তুমুল আগ্রহ। এখন পর্যন্ত সিনেমাটি ৫২৫ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে সিনেমাটি ৬০০ কোটি রুপির বেশি আয় করবে।

‘ছাবা’ সিনেমা মারাঠা সম্রাট শিবাজি মহারাজের ছেলে সাম্ভাজিকে ঘিরে। আর সাম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভিকি কৌশল। খুব বেশি বাজেটের সিনেমায় কখনো ভিকিকে আগে দেখা যায়নি। এদিক থেকে বলা যায়, লক্ষ্মণ উতেকর একপ্রকার বাজি ধরেছেন ভিকির ওপর। আর সে বাজি মাত করে দিয়েছেন ভিকি। সিনেমার নির্মাণ নিয়ে অনেক খুঁত ধরার অবকাশ থাকলেও ভিকি একদম নিখুঁত। বলা যায়, তাঁর অভিনয় দেখার জন্য এ সিনেমা দেখা সার্থক!

‘ছাবা’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের ‘কবর’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। ১৯২৫ সালে লেখা অমর এ কবিতার শতবর্ষ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ‘কবর’ কবিতা তৎকালীন সময়ের সমাজের চিত্রকে তুলে ধরেছে।

‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন বক্তারা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মফিজ ইমাম মিলন। ৪৮ জন লেখকের লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছে নয়নজুলি প্রকাশনাী।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে জসীমউদ্‌দীনের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার নানান প্রসঙ্গ। কবিতাটি ১৯২৫ সালে ‘গ্রাম্য কবিতা’ পরিচয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায়।

আলোচকেরা বলেন, ‘কবর’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। কবিতাটি দীনেশচন্দ্র সেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। এমনকি ‘কবর’ পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’ শিরোনামে একটি আলোচনাও লিখেছিলেন ফরওয়ার্ড পত্রিকায়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আববার বলেন, ‘কবর’ কবিতার শত বছর পূর্তির ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কবিতাটির শতবর্ষ নিয়ে বই প্রকাশ ব্যতিক্রমী প্রয়াস।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি শহরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের মতো সংগঠন থাকা উচিত। একটা বৃহত্তর পরিবারের মতো কাজ করে তারা। তিনি বলেন, এ ধরনের নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রের বাইরে থেকে দেশ ও সমাজ সম্পর্কে ভাবে। এটা বিশাল শক্তি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, পক্ষিবিশারদ ইনাম আল হক, কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈন উদ্দীন। গবেষক, সাংবাদিক ও ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী খান, অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।

‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘কবর’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ