ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করায় স্কুলছাত্রীর বাবাকে পিটিয়ে জখম, আটক ২
Published: 14th, March 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে থানায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দেওয়ায় এক স্কুলছাত্রীর বাবা রতন আলীকে (৩৭) পিটিয়ে জখম করা হয়ছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে উপজেলার এবি ইউনিয়নের শালেশ্বর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আহত রতন আলীর স্ত্রী সাইমা বেগম বুলবুলি বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- শালেশ্বর গ্রামের মৃত কলি শাহর ছেলে মসলেম (৪২) ও তার ছেলে রিয়াদ (২২)।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী সাইমা বেগম জানান, কয়েক মাস ধরে শালেশ্বর গ্রামের রুবেল আলীর ছেলে শুভ (২০) তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শুভ ও তার পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে তার স্বামী তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শুভ, রিয়াদসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং মাথায় আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/আরিফুল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক যুবদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারী এবং তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী, কামাল বেপারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আরো পড়ুন:
ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা
শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ইউপি সদস্য নাসির বেপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বোমার শব্দে ঘুমে ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়ার রুম ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ছৈয়াল, মমতাজ বেপারী, মন্নাপ বেপারী, সুজন, রনি ভূঁইয়া, টিপু মাদবর হামলা চালিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।’’ তিনি জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চান।
উল্টো অভিযোগ করেছেন চম্পা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন বেপারী, নাসির বেপারী, ইব্রাহিম বেপারীরা আমাদের বাড়িঘরে বোমা হামলা করেছে। তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেবে না। আমরা এলাকায় শান্তি চাই।’’ যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তাজুল ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল।
ঢাকা/আকাশ/বকুল