নাটোরের লালপুরে থানায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দেওয়ায় এক স্কুলছাত্রীর বাবা রতন আলীকে (৩৭) পিটিয়ে জখম করা হয়ছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে উপজেলার এবি ইউনিয়নের শালেশ্বর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আহত রতন আলীর স্ত্রী সাইমা বেগম বুলবুলি বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আটককৃতরা হলেন- শালেশ্বর গ্রামের মৃত কলি শাহর ছেলে মসলেম (৪২) ও তার ছেলে রিয়াদ (২২)।

ভুক্তভোগীর স্ত্রী সাইমা বেগম জানান, কয়েক মাস ধরে শালেশ্বর গ্রামের রুবেল আলীর ছেলে শুভ (২০) তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শুভ ও তার পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।

তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে তার স্বামী তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শুভ, রিয়াদসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং মাথায় আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

নাজমুল হক বলেন, “যৌথবাহিনীর অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আহতের স্ত্রীর করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী

গত মার্চে ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে ১২৫ কন্যাসহ ১৬৩ জনকে। ১৮ কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোট ১৮৯ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ কন্যাসহ ৪৮ জন। তার মধ্যে তিন কন্যাসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। 
জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৫ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ কন্যাসহ ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৪ কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাসহ দুইজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বর ধারা জেন্ডার সমতা। এটি উপেক্ষা করা কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।

সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের অন্যতম দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।

পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৪টি। এর আগে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ১৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯৯ কন্যাশিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
  • মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী