অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল
Published: 17th, March 2025 GMT
গ্রামীণ শক্তি দইয়ে ভেজালের অভিযোগ তুলে ১৪ বছর আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম বাতিলের ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তখন গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
গ্রামীণ শক্তি দইয়ে ভেজাল অভিযোগ তুলে অধ্যাপক ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে (স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা) ওই মামলা করেন। এ মামলায় একই বছরের ২৭ জানুয়ারি জামিন পান তিনি। এরপর মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০১১ সালে হাইকোর্ট আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন।
ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেন আদালত। আদালতে অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মহসীন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
অধ্যাপক ইউনূসের আইনজীবী তানিম হোসেইন প্রথম আলোকে বলেন, শক্তি দইয়ে ভেজালের অভিযোগে অধ্যাপক ইউনূস, একজন দোকানদার, সরবরাহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে সিটি করপোরেশন মামলা করে। এর আগে শক্তি দইয়ের এক নমুনায় পরীক্ষায় ভেজাল দাবি করে প্রতিবেদন দেয় সিটি করপোরেশন। মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আবেদন করা হলে হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। এত দিন তা স্থগিত ছিল।
মাসখানেক আগে রুল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয় জানিয়ে তানিম হোসেইন বলেন, শুনানিতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে হলফনামা আকারে তাদের অবস্থান জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইয়োগার্টের মানদণ্ড ব্যবহার না করে সাধারণ দইয়ের মানদণ্ডে শক্তি দইয়ের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল; ফলে পরীক্ষার ফলাফল ভুল এসেছিল। সিটি করপোরেশনের হলফনামা আদালতে তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের ওই মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল