বলিউড শিল্পীদের ভক্ত ছিলেন লাদেন, যা বললেন অলকা ইয়াগনিক
Published: 17th, March 2025 GMT
ওসামা বিন লাদেন। যাকে নাগালে পেতে আমেরিকার মতো দেশকেও বেগ পেতে হয়েছে বছরের পর বছর। সেই তিনিই নাকি বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা অলকা ইয়াগনিকসহ কয়েকজনের ডাইহার্ট ফ্যান ছিলেন! হ্যাঁ, এটাই সত্য। লাদেনের এবোটাবাদের বাড়ি থেকে গায়িকার একাধিক গানের রেকর্ড ও প্লে-লিস্ট সামনে আসতেই চমকে গেলেন অলকা নিজেই!
২০১১ সালের মে মাসে, পাকিস্তানের এবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের আস্তানায় সিআইএ অভিযান চালিয়ে তার কম্পিউটারগুলো জব্দ করে।
তখন তারা সেখানে বলিউডের বহু জনপ্রিয় গান খুঁজে পায়, যা উদিত নারায়ণ, কুমার শানু এবং অলকা ইয়াগনিকের গাওয়া ছিল। বলা হয়, ওসামা বিন লাদেন ছিলেন অলকা ইয়াগনিকের বিশাল ভক্ত।
এর অনেক বছর পর এক সাক্ষাৎকারে আনু রঞ্জনের সঙ্গে কথোপকথনের সময় অলকা ইয়াগনিক লাদেনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘এতে কী আমার দোষ?’
গায়িকা বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন যেমনই হোক, তার মধ্যে একটা ছোট্ট শিল্পীমন ছিল। যদি আমার গান পছন্দ করে থাকে, তাহলে সেটা তো ভালোই, তাই না?’
লাদেনের কম্পিউটারে পাওয়া গানের তালিকায় ছিল ‘আজনাবি মুঝকো ইতনা বাতা’, ‘দিল তেরা আশিক’, ‘তু চাঁদ হ্যায় পুনাম কা’সহ একাধিক বলিউড গান। যেখানে অলকা ইয়াগনিকের অসংখ্য গান পাওয়া যায়।
আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ১৪ বছর আগে পাকিস্তানের এবোটাবাদ শহরে মার্কিন বাহিনীর হাতে প্রাণ হারান। তিনি যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন, তাকে সবচেয়ে ভয়ংকর জিহাদি দল বলে বিবেচনা করা হতো। একসময় এই সংগঠনে হাজার হাজার যোদ্ধা ছিল।
২০১১ সালের ১ মে এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানে মার্কিন নেভির একদল সেনার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন আল-কায়েদা প্রধান তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার মূল হোতা লাদেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চমেক শিক্ষার্থী আবিদুর হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ১২ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদকে ১৪ বছর আগে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালাস পাওয়া ১২ জনকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে বাদীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে। তখন চমেকের ৫১তম ব্যাচের বিডিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবিদুর রহমান। তাঁর বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর বড়ইতলী গ্রামে। আর আসামিরা চমেক ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) শাখার তৎকালীন নেতা-কর্মী ছিলেন।
মামলার এজাহারের ভাষ্য, ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর বেলা আড়াইটা, সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ১০টায় তিন দফা পিটুনির পর চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে আবিদুর রহমানকে তাঁর বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁর চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আসামিরা বাধা দেন। পরদিন তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে মারা যান আবিদুর রহমান।
এ ঘটনায় আবিদুর রহমানের মামা নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে ছাত্রলীগের তৎকালীন ২২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আর এজাহারভুক্ত অপর ১০ আসামিকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই রায় দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। রায়ে আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ১২ জন হলেন ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত ছাত্রসংসদের তৎকালীন সহসভাপতি (ভিপি) মফিজুর রহমান জুম্মা, চমেক ছাত্রলীগ শাখার তৎকালীন সভাপতি সোহেল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, সহসাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, ফেরদৌস রাসেল, শান্ত দেবনাথ, মাহাফুজুর রহমান, ধীমান নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোস্তফা কামাল, রাশেদুর রেজা সানি ও সালমান মাহমুদ সিদ্দিকী ওরফে রাফসান।
খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৪৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে চলতি মাসে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন মামলার বাদী।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. ওজিউল্লাহ, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী ও ইয়াছিন আলফাজ শুনানিতে ছিলেন।
পরে আবেদনকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, ১২ জনকে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।