আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: শামা ওবায়েদ
Published: 21st, March 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আপনারা এ দেশের ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের আপনাদের ওপর ভরসা রয়েছে। আমরাসহ সবাই চাই আপনারা সফল হন। আপনাদের সফলতা তখনই হবে, যখন সংস্কার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।”
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এম এন একাডেমী স্কুল মাঠে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
শামা ওবায়েদ বলেন, “এখন সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই আমরা দুর্নীতিমুক্ত সংসদ পাব। সংসদ সদস্যরা সংসদে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য তারা কথা বলবেন।”
আরো পড়ুন:
তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে শান্তি আসবে: মান্নান
বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে আ.
তিনি আরো বলেন, “যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায়, তারা কেউ দেশের ভালো চায় না। তারা দেশের শত্রু, তারা গণতন্ত্রের শত্রু।”
নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুগ্ম-আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।
সভায় মহুরম কে এম ওবায়দুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা, দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
ঢাকা/তামিম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।