দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ২০টির বেশি দাবানল, ২ দমকল কর্মীর মৃত্যু
Published: 22nd, March 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে ২০টিরও বেশি দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দাবানলে শনিবার দুইজন দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দুইজন দমকল কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। খবর রয়টার্সের
দক্ষিণপূর্বাঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের কারণে দেশটির সরকার ওই অঞ্চলে দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর কিয়ংসাংয়ের উলসান, উইসেয়ং এবং কিয়ংসাং অঞ্চলের আরও কয়েকটি শহর। তীব্র বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শুক্রবার ওই অঞ্চলের সাতটি গ্রামের দুইশরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
সানছং কাউন্টি দপ্তর আশেপাশের আটটি শহরের বাসিন্দা ও পর্যটকদের শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কাউন্টিটির দপ্তর জানিয়েছে, এই অঞ্চলে দুইজন দমকল কর্মীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাদের পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ শনাক্ত হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, শনিবার বিকাল ৩টার মধ্যে দাবানল ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, তবে তার মধ্যে আগুন নতুন করে আরও ৭১৬ একরজুড়ে ছড়িয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।