গাজীপুরের পূবাইলে ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালক হানিফ মিয়া (৩৫) ও যাত্রী সাহেদ সাব্বির (২৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নিমতলী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পূবাইল থানার ওসি শেখ মো. আমিরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত হানিফ গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন হায়দরবাদ গ্রামের বাসিন্দা। ইজিবাইকের যাত্রী সাব্বির একই থানাধীন মাজুখান গ্রামের বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
যশোরের সড়কে যুবকের মৃত্যু
রাজধানীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত এক
এলাকাবাসী জানান, সকালে টঙ্গীগামী একটি দ্রুত গতির ট্রাক পূবাইলগামী ব্যাটারচালিত ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক ও এক যাত্রী নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধারে পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।