৮ দিনের ছুটিতে আখাউড়া স্থলবন্দর, বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
Published: 25th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে টানা আট দিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এসময় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার (২৮ মার্চ) থেকে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বন্দরের সকলপ্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ৫ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে যথারীতি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি ভারতের আগরতলা বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠনকে আমরা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি।
আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আখাউড়া স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
প্রসঙ্গত, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, প্লাস্টিক, তুলা ও খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। সেখান থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য সরবরাহ করা হয় দেশটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।