আরেফিন সিদ্দিক রাজনীতির ঊর্ধ্বে ছিলেন
Published: 10th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, আরেফিন সিদ্দিককে রাজনৈতিক মতাদর্শ দিয়ে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। তিনি সব সময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করেছেন। তিনি ভদ্রলোক ছিলেন। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় তিনি উত্তীর্ণ হবেন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে এ স্মরণসভায় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, প্রশাসনিকভাবে সহকর্মী এবং ব্যক্তিগত পরামর্শক হিসেবে আরেফিন সিদ্দিকের ভূমিকা আমাকে স্পর্শ করেছে। তাঁর শক্র-মিত্র যে কেউ যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ব্যক্তি আরেফিন সিদ্দিক আমার কাছে অত্যন্ত মর্যাদাবান মানুষ।
আরেফিন সিদ্দিকের সহধর্মিণী মিরা সিদ্দিক বলেন, তাঁর মুখে আমি কখনও কারও বদনাম শুনিনি। আমি বুঝতাম তিনি কারও কারণে কষ্ট পাচ্ছেন, তবু তাঁর নাম বলতেন না।
সভার শুরুতে আরেফিন সিদ্দিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আরেফিন সিদ্দিক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আ আ ম স আর ফ ন স দ দ ক আর ফ ন স দ দ ক র উপ চ র য আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।