ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, আরেফিন সিদ্দিককে রাজনৈতিক মতাদর্শ দিয়ে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। তিনি সব সময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করেছেন। তিনি ভদ্রলোক ছিলেন। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় তিনি উত্তীর্ণ হবেন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে  গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে এ স্মরণসভায় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন। 

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, প্রশাসনিকভাবে সহকর্মী এবং ব্যক্তিগত পরামর্শক হিসেবে আরেফিন সিদ্দিকের ভূমিকা আমাকে স্পর্শ করেছে। তাঁর শক্র-মিত্র যে কেউ যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ব্যক্তি আরেফিন সিদ্দিক আমার কাছে অত্যন্ত মর্যাদাবান মানুষ। 

আরেফিন সিদ্দিকের সহধর্মিণী মিরা সিদ্দিক বলেন, তাঁর মুখে আমি কখনও কারও বদনাম শুনিনি। আমি বুঝতাম তিনি কারও কারণে কষ্ট পাচ্ছেন, তবু তাঁর নাম বলতেন না। 

সভার শুরুতে আরেফিন সিদ্দিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আরেফিন সিদ্দিক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আ আ ম স আর ফ ন স দ দ ক আর ফ ন স দ দ ক র উপ চ র য আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন শাসন করেছেন, তেমনি বলিউডেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয় গুণে মিঠুন কুড়িয়েছেন যশ-খ্যাতি।

১৯৫০ সালের ১৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন মিঠুন। আজ পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তর বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে মিঠুনকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা-অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর।

জন্মদিন উপলক্ষে মিঠুনের উদ্দেশ্যে মমতা শঙ্কর বলেন, “প্রিয় মিঠুন, সুস্থ থাক। সবাইকে নিয়ে ভালো থাক। খুশিতে ও আনন্দে থাক। আরো ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দে। সাই বাবার কাছে তোর জন্য সারাক্ষণই প্রার্থনা করি।”

আরো পড়ুন:

অক্ষয়ের সিনেমার আয় ৩৩২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

মিঠুনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা মনে করে মমতা শঙ্কর বলেন, “মিঠুনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা মৃণালদার বাড়িতে। তখন ‘মৃগয়া’ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আমার আর মিঠুনের জীবনের প্রথম সিনেমা এটি। কত স্মৃতি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব।”

শুটিং সেটে এবং সেটের বাইরে মমতার সঙ্গে খুবই রসিকতায় মেতে উঠতেন মিঠুন। স্মৃতিচারণ করে মমতা শঙ্কর বলেন, “বাবা, মিঠুন, দারুণ বিচ্ছু। সারাক্ষণ ওর রসিকতা। সবার পিছনে লাগত। আমিও ছাড় পেতাম না। ২৪ ঘণ্টা ওর মাথার মধ্যে দুষ্টুবুদ্ধি ঘুরত। আমাকে খুব লেগ পুল করত। আর আমি রেগে যেতাম। সে কী বলব!”

২০২৬ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি হবে। সেই সূত্রে মিঠুন-মমতারও অভিনয় ক্যারিয়ার ৫০ বছরে পা দেবে। এই বিষয়টা মমতার মনকে বেশ প্রফুল্ল করে তুলেছে!

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সবকিছু ভুলে এখনো এ জুটির বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।

দেব প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন মিঠুন-মমতা। এ অভিনেত্রী বলেন, “মিঠুন আমার বন্ধু, সারাজীবন থাকবে। হ্যাপি বার্থ ডে মিঠুন। সব্বাইকে নিয়ে তুই খুব ভালো থাকিস।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ