৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগস্টের প্রথম দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৭ জুন এই পরীক্ষার হওয়ার কথা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল ২০২৪ সালে। এই বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার পদে ৩ হাজার ৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। এই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন পৌনে চার লাখ চাকরিপ্রার্থী।

বর্তমানে চারটি বিসিএস পরীক্ষার জট লেগেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিসিএসের কার্যক্রম চলছে সাড়ে তিন বছর ধরে। এগুলোর মধ্যে ৪৪ তম, ৪৫তম ও ৪৬ তম বিসিএসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। সর্বশেষ গত নভেম্বরে ৪৭ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যমান চারটি বিসিএসের জট শেষ করে পরবর্তী সময়ে একেকটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করছে বর্তমান পিএসসি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষার বিদ্যমান পাঠ্যসূচিতেও পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে দেড় বছরের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করতে হবে এক বছরের মধ্যে। বাকি ছয় মাসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

অবশ্য নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করতে হলে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ২০২১ সালে পিএসসি এক বছরে পরীক্ষা শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বরং আগের পরীক্ষার জট এখনো চলছে।

আরও পড়ুনচার বিসিএসের জট কাটিয়ে এক বছরে পরীক্ষা শেষ করার চিন্তা পিএসসির০৮ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক বছর শ ষ কর প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে যা করতে চায় পিএসসি

৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার পদ বৃদ্ধি ও নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংস্কার করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার জন্য নবম ও দশম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করার যে দাবি ছিল চাকরিপ্রার্থীদের, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

গত শনিবার পিএসসি সংস্কারে চাকরিপ্রার্থীদের আট দফা দাবির বিষয়ে যে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছে, সেখানে এ বিষয়ও রয়েছে। পিএসসি বলছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার পদ বৃদ্ধি ও নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংস্কার করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার জন্য নবম ও দশম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করার বিষয়টি একান্তই সরকারের এখতিয়ারাধীন একটি বিষয়।

তবে পিএসসি মনে করে, এ রকম করা হলে ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসের প্রার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং ফলে তাদের সংক্ষুব্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুনবিসিএসে ১০০ নম্বরের ভাইভা, কার্যকর কোন বিসিএসে২৭ এপ্রিল ২০২৫

বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের বিষয়ে প্রার্থীদের আরেকটি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার বিধান কার্যকর হবে। ৪৫তম বিসিএস থেকেই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০–এর পরিবর্তে ১০০ নির্ধারণ করার প্রস্তাব ২০২৪ সালের নভেম্বরে কমিশন কর্তৃক সরকারের কাছে প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের বিবেচনায় ৪৭তম বিসিএস থেকে এটি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের১৯ ঘণ্টা আগে

আরেকটি দাবির বিষয়ে পিএসসি জানিয়েছে, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করার জন্য কমিশন ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করার জন্য সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিযোগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪, সংশোধন করার প্রয়োজন হবে এবং পিএসসির কিছু অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এসব বিষয়ে পিএসসি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন৪০৪ পদে সরকারি চাকরি, আবেদন শেষ আগামীকাল৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে যা করতে চায় পিএসসি