ভিক্টোরিয়া কলেজের সামনে সংঘর্ষ ও অস্ত্র প্রদর্শনের মামলায় গ্রেপ্তার ১৬, র্যাবের হাতে আটক ৬ কিশোর গ্যাং সদস্য
Published: 20th, October 2025 GMT
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সামনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে জড়িত অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া পৃথক অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের আরও ছয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
পুলিশ বলছে, সংঘর্ষের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যে দুজনের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গিয়েছিল, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁরাও রয়েছেন।
গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথভাবে অভিযান চালায়। এতে কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ ১৪ জনকে আটক করে। এ ছাড়া র্যাব পৃথক অভিযানে ভিক্টোরিয়া কলেজের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে নগরের কান্দিরপাড় টাউনহল এলাকায় অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের আরও ছয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে একজনের হাতে দেশীয় চাপাতি হাঁসুয়া এবং আরেকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে ওই দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে চাপাতি হাতে থাকা সিফাত (২০) এবং আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা আবরারকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা দুই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। আধিপত্য বিস্তারকেই কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল দুপুরে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রানীর দীঘির পাড়ে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সামনে সংঘর্ষ ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত চারজন আহত হন। এ ঘটনার পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেন, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও তাহফিদ হোসেনের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষের বন্ধুবান্ধব ও সহযোগীরা ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টার পর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতেই অভিযান শুরু করে।
আজ বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের সামনে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে র্যাব। পরে রাতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজের সামনে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় জড়িত দুজনও রয়েছেন। বাকিরা নগরের চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য। নগরের কান্দিরপাড় টাউনহল মাঠে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাই নগরের বিভিন্ন স্থানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন য় স ত র গ র প ত র কর র ঘটন য় স ঘর ষ নগর র এ ঘটন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ফখর জামানকে শাস্তি দিল আইসিসি
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামানকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ফখর ‘আইসিসি কোড অব কনডাক্টের ২.৮ ধারা’ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ধারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ বা প্রকাশ্য আপত্তি জানানোর সঙ্গে সম্পর্কিত।
আরো পড়ুন:
দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাইজুল
এ ঘটনার কারণে ফখরের শৃঙ্খলাভঙ্গের রেকর্ডে একটি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এটি ছিল তার প্রথম অপরাধ।
ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ইনিংসের ১৯তম ওভারে। সেই ওভারে আউট হওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বিতর্কে জড়ান ফখর জামান।
এমিরেটস আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রিয়ন কিং শাস্তির প্রস্তাব দেন। অভিযোগ তোলার দায়িত্বে ছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার আহসান রাজা ও আসিফ ইয়াকুব, থার্ড আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ এবং ফোর্থ আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি।
ফখর নিজের অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, লেভেল-১ অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্কবার্তা, আর সর্বোচ্চ শাস্তি খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা এবং সাথে এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, সেই ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান।
ঢাকা/আমিনুল