আমেরিকান এক্সপ্রেস বা অ্যামেক্সের নতুন আরেকটি ক্রেডিট কার্ড বাজারে এনেছে সিটি ব্যাংক। সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ মেটাল ক্রেডিট কার্ড নামে নতুন এই কার্ডে রয়েছে বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানের রেনেসাঁ হোটেল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই কার্ড বাজারে আনার ঘোষণা দেয় সিটি ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যাংকের পক্ষে থেকে আমন্ত্রণের ভিত্তিতে এই কার্ড ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ শুরুতে গ্রাহকেরা নিজ উদ্যোগে এই কার্ড পাবেন না। নতুন এই কার্ডে দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অর্থ সাশ্রয় ও আন্তর্জাতিক নানা সুবিধা পাওয়া যাবে। নতুন এই কার্ডে পাওয়া যাবে ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের গিফট ভাউচার। দুই বছরের জন্য বিনা মূল্যে ট্যাবলেট প্লাস সদস্যপদ বা মেম্বারশিপ, যার আওতায় আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল বুটিক হোটেল ও ব্র্যান্ডে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে প্রায়োরিটি পাস ও দুজন অতিথিসহ বিশ্বের ১ হাজার ৭০০-এর বেশি বিমানবন্দর লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা।

নতুন কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সিটি ব্যাংক। আমরা কোনো ট্রেন্ড অনুসরণ করি না, বরং ট্রেন্ড চালু করি। আমাদের যাত্রা সব সময় উদ্ভাবন, ভবিষ্যতের চিন্তা এবং সময়ের সঙ্গে মিল রেখে পরিবর্তনের ইচ্ছাকে ঘিরেই পরিচালিত হয়। নতুন এই কার্ড মানে শুধু প্লাটিনাম সুবিধা বা সম্মান নয়। বর্তমান বিশ্বে কার্ড ব্যবহারের উদ্দেশ্যকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে এটি। সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকদের সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা দেবে সিটি ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই কার্ডের প্রতিটি গ্রাহকের বিপরীতে একজন করে রিলেশনশিপ ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক থাকবেন, যাঁরা প্রত্যেক গ্রাহককে সব ধরনের সহায়তা দেবেন। এ ছাড়া থাকছে বিমানবন্দরের ফাস্টট্র্যাক ভিআইপি মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবায় শতকরা ১০ ভাগ ছাড়ের সুবিধা। এই কার্ড ব্যবহার করে নির্বাচিত মার্চেন্ট থেকে পাওয়া যাবে ১০ গুণ পর্যন্ত মেম্বারশিপ রিওয়ার্ডস পয়েন্ট। এই পয়েন্ট ব্যবহার করে বকেয়া বিল, বার্ষিক মাশুল, কেনাকাটা ও ডাইনিং সুবিধা পাবেন গ্রাহকেরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের সব ধরনের কার্ডই আছে। তবে অ্যামেক্সের মাধ্যমেই দেশে বিদেশে মানুষ বেশি লেনদেন করে। আমাদের কাছে মেটাল কার্ড বড় বিষয় নয়। অ্যামেক্স কার্ডের শতবর্ষের গ্রাহক প্রতিশ্রুতির ঐতিহ্যই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

মাসরুর আরেফিন আরও বলেন, ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন সীমা বা লিমিট বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি দ্রুত ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে দেশের সব স্তরের মানুষের জন্য নানা ধরনের কার্ড চালুর বিষয়ে কাজ করছেন।

অনুষ্ঠানে আমেরিকান এক্সপ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট দিব্যা জৈন তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সিটি ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে নতুন এই কার্ড চালু একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলাদেশের প্রথম মেটাল কার্ডও এটি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিয়া জুনেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অরূপ হায়দার, হেড অব কার্ড তৌহিদুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব যবহ র গ র হক পর চ ল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ