অ্যামেক্সের নতুন মেটাল ক্রেডিট কার্ড বাজারে এনেছে সিটি ব্যাংক
Published: 10th, April 2025 GMT
আমেরিকান এক্সপ্রেস বা অ্যামেক্সের নতুন আরেকটি ক্রেডিট কার্ড বাজারে এনেছে সিটি ব্যাংক। সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ মেটাল ক্রেডিট কার্ড নামে নতুন এই কার্ডে রয়েছে বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানের রেনেসাঁ হোটেল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই কার্ড বাজারে আনার ঘোষণা দেয় সিটি ব্যাংক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যাংকের পক্ষে থেকে আমন্ত্রণের ভিত্তিতে এই কার্ড ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ শুরুতে গ্রাহকেরা নিজ উদ্যোগে এই কার্ড পাবেন না। নতুন এই কার্ডে দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অর্থ সাশ্রয় ও আন্তর্জাতিক নানা সুবিধা পাওয়া যাবে। নতুন এই কার্ডে পাওয়া যাবে ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের গিফট ভাউচার। দুই বছরের জন্য বিনা মূল্যে ট্যাবলেট প্লাস সদস্যপদ বা মেম্বারশিপ, যার আওতায় আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল বুটিক হোটেল ও ব্র্যান্ডে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে প্রায়োরিটি পাস ও দুজন অতিথিসহ বিশ্বের ১ হাজার ৭০০-এর বেশি বিমানবন্দর লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা।
নতুন কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সিটি ব্যাংক। আমরা কোনো ট্রেন্ড অনুসরণ করি না, বরং ট্রেন্ড চালু করি। আমাদের যাত্রা সব সময় উদ্ভাবন, ভবিষ্যতের চিন্তা এবং সময়ের সঙ্গে মিল রেখে পরিবর্তনের ইচ্ছাকে ঘিরেই পরিচালিত হয়। নতুন এই কার্ড মানে শুধু প্লাটিনাম সুবিধা বা সম্মান নয়। বর্তমান বিশ্বে কার্ড ব্যবহারের উদ্দেশ্যকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে এটি। সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকদের সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা দেবে সিটি ব্যাংক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই কার্ডের প্রতিটি গ্রাহকের বিপরীতে একজন করে রিলেশনশিপ ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক থাকবেন, যাঁরা প্রত্যেক গ্রাহককে সব ধরনের সহায়তা দেবেন। এ ছাড়া থাকছে বিমানবন্দরের ফাস্টট্র্যাক ভিআইপি মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবায় শতকরা ১০ ভাগ ছাড়ের সুবিধা। এই কার্ড ব্যবহার করে নির্বাচিত মার্চেন্ট থেকে পাওয়া যাবে ১০ গুণ পর্যন্ত মেম্বারশিপ রিওয়ার্ডস পয়েন্ট। এই পয়েন্ট ব্যবহার করে বকেয়া বিল, বার্ষিক মাশুল, কেনাকাটা ও ডাইনিং সুবিধা পাবেন গ্রাহকেরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের সব ধরনের কার্ডই আছে। তবে অ্যামেক্সের মাধ্যমেই দেশে বিদেশে মানুষ বেশি লেনদেন করে। আমাদের কাছে মেটাল কার্ড বড় বিষয় নয়। অ্যামেক্স কার্ডের শতবর্ষের গ্রাহক প্রতিশ্রুতির ঐতিহ্যই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
মাসরুর আরেফিন আরও বলেন, ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন সীমা বা লিমিট বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি দ্রুত ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে দেশের সব স্তরের মানুষের জন্য নানা ধরনের কার্ড চালুর বিষয়ে কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে আমেরিকান এক্সপ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট দিব্যা জৈন তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সিটি ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে নতুন এই কার্ড চালু একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলাদেশের প্রথম মেটাল কার্ডও এটি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিয়া জুনেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অরূপ হায়দার, হেড অব কার্ড তৌহিদুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব যবহ র গ র হক পর চ ল আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।