লেবুর খোসা ফেলে দিলে যেসব উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন
Published: 11th, April 2025 GMT
লেবুর রস বের করে নেওয়ার পর খোসাটা হয়তো ফেলে দেন অনেকেই। তবে লেবুর খোসা দারুণ উপকারী এক প্রাকৃতিক উপাদান। ভিটামিন সির খুব ভালো একটি উৎস লেবুর খোসা। ভিটামিন সি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ত্বক কিংবা চুলের সুস্থতার জন্য তো বটেই, শরীরটাকে ঠিকঠাক রাখতে ভিটামিন সি প্রয়োজন সবারই। লেবুর খোসা খেয়ে নেওয়া তাই নিঃসন্দেহেই চমৎকার অভ্যাস। রূপচর্চায়ও আলাদাভাবে লেবুর খোসা কাজে লাগাতে পারেন।
সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানেন। তবে চুল ও ত্বকে খুব সহজে লেবুর খোসা প্রয়োগ করা যায়। ত্বক এবং চুলের গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোলাজেন। এই কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি আবশ্যক, যা আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন লেবুর খোসা থেকে। ত্বকের দাগছোপ দূর করতে লেবুর খোসা যেমন কার্যকর, তেমনি ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতেও তা সহায়ক। চুলেও ব্যবহার করতে পারেন লেবুর খোসার প্যাক। এমনটাই বলছিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
দাগছোপ কমাতে
লেবুর রস বের করার পর খোসাটি ধুয়ে ফেলুন। ভেতরের পাতলা সাদাটে আবরণ ফেলে দিন। এবার ত্বকে লেবুর খোসা ঘষে নিন। রোজ ত্বকে এভাবে লেবুর খোসা মালিশ করলে ধীরে ধীরে ত্বকের দাগছোপ এবং কালচে ভাব কমে আসবে। রোদে পোড়া ভাবও কমে যাবে। চাইলে ত্বকে লেবুর খোসা ঘষার আগে খোসাটির ভেতরের অংশে সামান্য মধু লাগিয়ে নিতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।
ত্বক উজ্জ্বল রাখতে লেবুর খোসা দারুণ কার্যকর.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষিত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র: উপদেষ্টা মাহফুজ
জুলাই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মাহফুজ আলম লেখেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ই আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম আলোচিত বিষয় এই জুলাই ঘোষণাপত্র। অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে সম্প্রতি জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলকে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে।
পরের পাঁচটি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।