কাজল আরিফিন অমি পরিচালিত বহুল আলোচিত টিভি সিরিয়াল ‘ব‌্যাচেলর পয়েন্ট’। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সিরিয়ালটির প্রথম সিজনের সম্প্রচার শুরু হয় বেসরকারি টেলিভিশন চ‌্যানেল বাংলা ভিশনে। পাশাপাশি এটি মুক্তি পেয়েছে ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ‌্যানেলে।

দর্শক চাহিদা মাথায় রেখে নির্মিত হয় সিরিয়ালটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিজন। ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ‌্যানেলে মুক্তি পায় তৃতীয় সিজনের শেষ পর্ব (৭৯)। এরপর চতুর্থ সিজন নির্মাণের দাবি জানান দর্শকরা। এ সিজন শেষ হয়েছে তাও আড়াই বছর আগে। বরাবরের মতো পঞ্চম সিজনের জোর দাবি ওঠে। কিন্তু তা আর হয়নি।

দীর্ঘ সময় বিরতি নিয়ে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের পঞ্চম সিজন নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন পরিচালক অমি। নতুন সিজনের একটি পোস্টারও প্রকাশ করেছেন এই নির্মাতা। অমি বলেন, “দীর্ঘ আড়াই বছর পর আবার শুরু হতে যাচ্ছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট।” পরিচালকের এ ঘোষণায় আনন্দিত ভক্ত-অনুরাগীরা। নির্মাতার পোস্টটি প্রায় ২০ হাজার শেয়ার পড়েছে।

আরো পড়ুন:

ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন মাহি

ভেঙে যাচ্ছে তারকা দম্পতির বিয়ে?

মিনহাজ নামে একজন লেখেন, “মনটা ভালো করে দিলেন।” শুভঙ্কর দেবনাথ লেখেন, “অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” রফিকুল আমিন সাব্বির লেখেন, “তাড়াতাড়ি চাই সিজন ফাইভ।” ফারহান লেখেন, “আর অপেক্ষা করতে পারছি না।” অনেকে জানতে চেয়েছেন কবে থেকে নতুন সিজনের প্রচার শুরু হবে। যদিও এ তথ্য এখনো জানা যায়নি। এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে নির্মাতার কমেন্ট বক্সে।

গত দুই দিন ধরে নতুন সিজনের শুটিং চলছে। পূর্বের সিজনের অনেকেই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। তবে নতুন সিজনে কারা কারা অভিনয় করছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। নতুন সিজনে চমক থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। 

আগের সিজনের দেখা গেছে একঝাঁক তারকাকে। এ তালিকায় রয়েছেন— মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলম, মারজুক রাসেল, সাবিলা নূর, সানজানা সরকার রিয়া, ফারিয়া শাহরিন, শরাফ আহমেদ জীবন, সুমন পাটোয়ারী, মনিরা মিঠু, আবদুল্লাহ রানা, শিমুল শর্মা, পারসা ইভানা, পাভেল প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক স জন র

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে ইরানের তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা

ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছে। তবে এবারই প্রথম ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর দুই পক্ষ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা তীব্র হতে থাকায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত শনিবার গভীর রাতে ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী তেহরানে একটি তেল শোধনাগারেও আগুন ধরে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

বিশ্বের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এ ইসরায়েলের হামলায় আগুন লাগার পর ইরান আংশিকভাবে এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে থাকে।

ইসরায়েল নজিরবিহীনভাবে ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে। দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিচ্ছে।

ইরান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ও তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল মজুতের অধিকারী– এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) দেওয়া। ফলে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে এতদিন ইসরায়েল ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা এড়িয়ে চলছিল, বিশেষ করে তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের চাপ ছিল। কিন্তু এবার তা বদলে গেছে।

গত শনিবার রাতে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে শাররান জ্বালানি ডিপো ও শহরের দক্ষিণে শার-রে অঞ্চলে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ তেল শোধনাগারে বড় ধরনের আগুন লাগে।  এ ছাড়া ইরানের দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র সাউথ পার্স লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। 

হামলায় সাউথ পার্সের ‘ফেইজ ১৪’ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আগুন লাগে। ফলে এখানে দৈনিক ১ দশমিক ২ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদনকারী একটি অফশোর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের হামলার প্রথম দিনে তেল ও গ্যাস স্থাপনা বাদ পড়লেও বাজারে তেলের দাম প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। সোমবার  বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও বড় উল্লম্ফন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালান এয়ার বলেন, ইসরায়েল চায়, ইরানের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়ুক। তাদের লক্ষ্য, ইরানের এই সরকারের পতন ঘটানো। ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ, দেশের অভ্যন্তরে সম্মান রক্ষার বিষয় আছে। কিন্তু ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা ইরানের নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের বন্ধুর সংখ্যা কম। আর থাকলেও ইসরায়েল পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মতামতকে পাত্তা দেয় না– বলেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ