তিন পার্বত্য জেলা মিলে একটি কফি অঞ্চল যেন বানাতে পারি: সুপ্রদীপ চাকমা
Published: 25th, April 2025 GMT
কাজুবাদাম এবং কফি চাষকে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেছেন, ‘সিলেটকে আমরা যেভাবে চায়ের জন্য বিখ্যাত বলি, সিলেটের নাম শুনলে মনে হয় যেন চায়ের দেশ। আমরা চাই যে এখানে কফির দেশ যেন হয়। তিন পার্বত্য জেলা মিলে আমরা একটি কফি অঞ্চল যেন বানাতে পারি।’
আজ শুক্রবার রাঙামাটিতে আয়োজিত একটি সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাইনী হলরুমে ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মোনঘরের ব্যবস্থাপনায় সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে কাজুবাদাম ও কফির চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। প্রতিষ্ঠানটি চাষাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করতে না পারলে পরে কৃষি বিভাগকে দিয়ে করানো হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সম্ভাবনাময় কাপ্তাই হ্রদকে কাজে লাগাতে হবে। কাপ্তাই হ্রদে মাছ চাষে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডের ট্রাস্টি রাজিব কান্তি বড়ুয়া। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, মং সার্কেলের প্রধান রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন শ্যামল মিত্র চাকমা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ শ্রীলঙ্কার
‘আমাদের লর্ডসে থাকার কথা ছিল। আর আমরা এখন কোথায়।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে গলে টেস্ট দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন চক্র শুরুর আগে সতীর্থদের এই কথাই বলেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চক্রে শ্রীলঙ্কা ছয়ে থেকে শেষ করেছে। তবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ছিল তারা। সমীকরণ ছিল কঠিন। যার ধারে কাছে যেতে পারেনি লঙ্কানরা।
গত চক্রের শেষ ধাপে শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে খেলেছে দুই টেস্ট। ওই চার টেস্টের তিনটিতে জিততে পারলেই ফাইনালে যেতে পারত তারা। অজিদের হারাতে ঘরে স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়েও লাভ করতে পারেনি লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ রাখছেন বলে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক সিলভা, ‘আমাদের ফাইনালে খেলার ভালো সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা পারিনি। নতুন চক্রে আমরা জানি, ঘরের মাঠে সিরিজগুলো জিততে হবে। আমরা ঘরে সম্ভাব্য সব পয়েন্ট তুলতে চাই। ঘরে সিরিজ শুরু করার এটা দারুণ সুযোগ।’
তবে নতুন চক্রে লঙ্কানদের জন্য চ্যালেঞ্জও আছে। দিমুথ করুনারত্নে অবসর নিয়েছেন। অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস গল টেস্ট দিয়ে অবসর নেবেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে কোন টেস্ট না খেলা ছয় ক্রিকেটার ডাক পেয়েছেন। ডি সিলভা অবশ্য তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরুর বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা ভালো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কাটিয়েছি। প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে। ভালো কিছু তরুণ খেলোয়াড়ও বেরিয়েছে। তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’